জোকা কারশেডে চলছিল সকাল থেকে চার্জিং করার কাজ ৷ শেষ মেষ বিকেল ৩ঃ১৫ নাগাদ শুরু হয় মেট্রোর ট্রায়াল রান। এদিন নন এসি মেট্রো রেক, ঘণ্টায় ৫ কিমি গতিতে দৌড়েচ্ছে। ধাপে ধাপে স্পিড ট্রায়াল করা হবে।
advertisement
ইতিমধ্যেই লাইন বসানো হয়েছে এই অংশে। আগামী বছর জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো পূর্ণ মাত্রায় চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে রেল। আত্মনির্ভর প্রকল্পে প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। শুরু হয়েছিল জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে লাইন পাতার কাজ। ইউরোপ নয়, ছত্তিসগড় থেকে কলকাতায় এসে পৌছেছিল ইস্পাতের রেল।লাইন বা রেল বসানোর জন্য এসে গেছে নেদারল্যান্ডসের মেশিন 'মোবাইল ফ্ল্যাশব্যাট ওয়েল্ডিং'। যা দিয়ে জোড়া হয় লাইনের অংশ। আর ভি এন এল সূত্রে খবর, জোকা ডিপো থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিমি লাইন পাতার মতোই ইস্পাত এসে পৌছে গিয়েছিল। কাজও শেষ। যে সংস্থা এই লাইন পাতার কাজ করবে তাদের প্রতিনিধিরাও এসে গিয়ে কাজ শেষ করে দিয়েছেন। জোকা ডিপো থেকে তারাতলা পর্যন্ত মেট্রোর স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শেষ। এবার এই পথে শুরু হতে চলেছে মেট্রোর ট্রায়াল রানের কাজ।
আরও পড়ুন- ‘মাথায় গুলি করতেন ?’...অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমাজবিরোধী বলে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর!
লাইন পাতার জন্য ছত্তিসগড় থেকে আনা হয়েছিল ৩০০০ মেট্রিক টন ইস্পাত। ১৮ মিটার করে লম্বা এক একটি রেলের খন্ড আনা হয়েছিল। সেগুলিকেই জোড়া হয়। আর ভি এন এলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘মেট্রো লাইনে কোনও জয়েন্ট থাকে নাতাই প্রতিটি খন্ড বসিয়ে বিশেষ যন্ত্র মোবাইল ফ্ল্যাশব্যাট ওয়েল্ডিং দিয়ে জোড়া হচ্ছে। তারপর বিভিন্ন তাপমাত্রায় তা পরীক্ষা করা হবে।’’ পণ্যবাহী ট্রেন বা মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন যখন চলাচল করে তখন রেল লাইনের ওপরে তার ভার অনেক বেশি হয়। সেই তুলনায় মেট্রোর ভার অনেকটা কম। কিন্তু মেট্রো পরিষেবা যেহেতু ঘন ঘন হয় তাই রেলের ওপরে ঘর্ষণ এবং তাপ এতটাই উৎপন্ন হয় যে কাজ অনেক বেশি নিখুঁত ও সচেতনতার সঙ্গে করতে হয়।আরভিএনএলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মেট্রো লাইন হয় সুড়ঙ্গ, নয়তো মাটির অনেক উপরে হয়। ফলে এখানে লাইন বদলানো খুব একটা সহজ ব্যপার নয়। তাই কমপক্ষে ১০০ বছর ধরে পরিষেবা দিতে হবে এমনটা ভেবেই এই রেল বা ইস্পাত নিয়ে আসা হয়েছে।
আরভিএনএলসূত্রে খবর, জিন্দলদের ছত্তিসগড় কারখানা থেকে রেলে করে শালিমার ইয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল এই ইস্পাত। ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ-সহ নানা উপকরণ দিয়ে এই ইস্পাত বানানো হয়েছে। সাধারণ লাইনের চেয়ে এই লাইনের পীড়ন সহ্য করার ক্ষমতা অনেকটা বেশি। বিশেষ প্রযুক্তিতে বানানো এই ইস্পাত কয়েক মিনিট অন্তর ট্রেন চলাচলের পরেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তাই এই ভারতীয় সংস্থাকে বাছাই করেছে আরভিএনএল। যেহেতু ইউরোপ রেল লাইন তৈরিতে দক্ষ, তাই সেখান থেকেই আগে ইস্পাত আনা হত।