দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর একাধিক বাঁক। বিপদ এড়াতে সেখানেও কমানো হল গতি। মাত্র ১৫ কিমি গতিতে চলছে মেট্রো। লাইনের ক্ষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল মেট্রোর রেক। চারটি মেট্রো রেকের চাকায় ক্ষয় ধরা পড়েছে। লাইনে কেন ‘ ক্ষয় রোগ’? জানতে বিশেষ পরীক্ষা করানো হচ্ছে মেট্রোর তরফে (Kolkata Metro)।
আরও পড়ুন-Weather Update: আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন
advertisement
দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ ৩২ কিমি পথ। তার মধ্যে ৩০% অংশে মেট্রোয় তীক্ষ্ণ বাঁক। ৪% অংশ ক্যানালের ওপর দিয়ে মেট্রো লাইন। ফলে লাইনে ত্রুটি নিয়ে চিন্তায় মেট্রো। কলকাতা মেট্রোকে বলা হয় লাইফলাইন। আর সেই লাইফলাইনেই ‘ক্ষয়’ রোগ ধরা পড়ায় মেট্রো আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
সাধারণত মেট্রো চলাচল করে কলকাতায় ৫৫ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে। এর মধ্যে দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদম ও টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষের মধ্যে মেট্রোর গতি কমিয়ে দেওয়া হল। কারণ হিসাবে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা বলছেন, গোটা ৩২ কিমি যাত্রাপথে, ৫টি বাঁক আছে৷ এর মধ্যে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে বাঁক সবচেয়ে বেশি। রেলের পরিভাষায় প্রায় ৪ ডিগ্রি তীক্ষ্ণ বাঁক আছে। ফলে অত্যন্ত ধীর গতিতে মেট্রো চালাতেই হয়। কিন্ত বর্তমান অবস্থার জন্যে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। লাইন সারানোর জন্যে ইতিমধ্যেই রেল গ্রাইন্ডিং মেশিন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিয়ের পর যৌনতায় নারাজ স্বামী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী! তার পর?
বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে গ্রাইন্ডিং মেশিন দিয়ে লাইন সারানোর কাজ ৷ আপাতত ৫ দিন সময় লাগবে এই কাজ শেষ করতে। তবে তারপরেও পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানো যাবে এমন নিশ্চয়তা শোনাতে পারছেন না কেউই।এই ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের ওপর দিয়েই মেট্রো চলাচল করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রোর চাকা। সাধারণত চাকার দু'প্রান্তে কানার মত উঁচু অংশ থাকে। যা চাকাকে লাইনের ওপর রাখতে সাহায্য করে৷ ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের ওপর অস্বাভাবিক ঘর্ষণের কারণে চাকার দু'প্রান্তের ফ্লেঞ্জের দিকে গভীর ও ধারালো হয়ে গিয়েছে। ফলে লাইনচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই লাইনের ত্রুটি নিয়ে চিন্তায় মেট্রো।