প্রসঙ্গত, বউবাজারে ক্যাম্প অফিস খোলা হয়েছে৷ আর সেখানেই বেশ কয়েকজন ব্যক্তির রোষানলে পড়েন KMRCL আধিকারিকরা। তাঁদের জন্য ক্যাম্প অফিস চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
আড়াই বছর পর ফিরেছে সেই আতঙ্ক। মেট্রোর কাজ চলাকালীন গত শুক্রবার ভোরের পর থেকে বউবাজারের মদন দত্ত লেনের অন্তত ১২টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে বহু পরিবার। তাঁদের অনেকেরই বর্তমান ঠিকানা ক্রিক রো-এর কিউ ইন হোটেলে। এই পরিস্থিতিতে মারাত্মক অভিযোগ তুললেন কেএমআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি এন ঝা। তাঁর অভিযোগ, বউবাজারে নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই সোমবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দ্বারস্থ হচ্ছে কেএমআরসিএল।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্রস প্যাসেজের বিকল্প হিসেবে বউবাজারে ইভ্যাকুয়েশন শ্যাফট তৈরির কথা ভাবছে KMRCL
মেয়রের কাছে তাঁদের আর্জি, কাজ করতে দেওয়া হোক। সি এন ঝা বলেন, ''২০১৯ সালের ঘটনায় ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে ২৯ জন ব্যবসায়ীকে। ৪৩ জন ব্যবসায়ীকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে। ২০০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ করে। সব মিলিয়ে ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে ১ লাখ করে ১৪ জন ব্যবসায়ীকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২ কোটি ৫৮ লাখ দেওয়া হয়েছে।''
আরও পড়ুন: মাটি শক্ত করা গিয়েছে, তবু বউবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম আশঙ্কা
রীতিমতো পাল্টা অভিযোগের সুরে কেএমআরসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, ''২০১৯ সালে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। ২৯ জনকে ১ লাখ, ৪৩ জনকে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এই ৭২ জন হলেন ব্যবসায়ী। ৩০ দিনের বেশি যারা বাইরে ছিলেন তাদের ৫ লাখ করে দেওয়া হয়েছে। ২০০ জনকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে ১৪ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫ জনের টাকা বাকি আছে। কাগজ, লাইসেন্স যথাযথ থাকলে আমরা টাকা দিয়ে দেব। এবারেও আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। এছাড়া হোটেলে থাকার সব খরচ বহন করা হচ্ছে।"
সি এন ঝা-র অভিযোগ, ''ওখানে অনেকে ইন্ধন দিচ্ছেন৷ এভাবে ধাক্কাধাক্কি, চিৎকার করলে হবে না। আমরা আজ মেয়রের কাছে যাব। ফিল্ডে থাকা ব্যক্তিদের কাজে সমস্যা হচ্ছে।''