উল্লেখ্য, গত বছর জুলাই মাসে রেল বিকাশ নিগম এই টানেল তৈরির জন্য দরপত্রের আবেদন করে। আদালতে এই সংক্রান্ত জটিলতা কাটতেই দরপত্রের আবেদন জানানো হয়েছিল। প্রায় ২,৫৭১.২ কোটি খরচ হবে এই অংশের টানেল তৈরিতে। খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেডে ভূগর্ভস্থ স্টেশন তৈরি হওয়ার কথা এই পার্পেল লাইনের জন্য।
আরও পড়ুন- আয়কর দফতরের কড়া নিয়ম; এসব ভুলেও করে থাকলে মাশুল গুণতে হবে আপনাকে!
advertisement
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাজেটে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৯৪ কোটি টাকা। এদিকে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে বেহালা মেট্রোতে দৈনিক পাঁচ হাজার যাত্রী উঠতেন। তবে তা এখন নেমে এসেছে ২০০০-এ। যা নিয়ে আশাহত মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে জোকা থেকে বিবাদী বাগ রুট পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে এই হতাশা কেটে যাবে ৷
প্রসঙ্গত, জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই জটিলতা ছিল। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে কাটে এই সংক্রান্ত জটিলতা। উচ্চ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, টালি নালা থেকে মেট্রোর কাজ শুরু করা যাবে বিবাদী বাগ-জোকা মেট্রো লাইনে সমস্যা ছিল মোমিনপুর থেকে বিবাদী বাগ অংশে। ভিক্টোরিয়া, ময়দান অঞ্চলে সেনা অনুমতির জন্য জট তৈরি হয়েছিল জোকা-বিবাদী বাগ লাইনে মেট্রো প্রকল্প নিয়ে। এদিকে সরকার জানিয়েছিল, মেট্রোর কাজের জন্য ট্রাম লাইন সরানো নিয়ে সেই অর্থে সমস্যা হবে না। টালি নালা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ভূতলে মেট্রোর কাজ শুরু করতে তাই এখন তৎপর রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড ৷