যাত্রীর সংখ্যা কম, এই যুক্তি দেখিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে জোকা-মাঝেরহাট এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ মিলিয়ে কম-বেশি ছ’টি স্টেশনে বুকিং কাউন্টার তুলে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পথে বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টেশনে হাতে গোনা যাত্রী ওঠানামা করেন। যাত্রীদের টোকেন, স্মার্ট কার্ড কেনার জন্য ওই স্টেশনে এ বার থেকে শুধুই যন্ত্র-নির্ভর ব্যবস্থা চালু থাকবে। কিছুদিন আগেই মেট্রো রেলওয়ে পার্পল এবং অরেঞ্জ লাইনের তিনটি স্টেশন ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ স্টেশনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারপরে ঠাকুরপুকুর ও বেহালা বাজার মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চিরতরে বন্ধ করা হয়েছিল। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল পাইলট প্রকল্প হিসেবে গত ১ অগাস্ট থেকে শহরের তিনটি মেট্রো স্টেশনে থাকছে না কোনও টিকিট কাউন্টার। এই তিন স্টেশনের মধ্যে রয়েছে পার্পল লাইনের তারাতলা ও সখেরবাজার মেট্রো স্টেশন এবং অরেঞ্জ লাইনের কবি সুকান্ত স্টেশন।
advertisement
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, তারাতলা স্টেশনে দৈনিক গড় যাত্রী ৭০ জন, কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশন গড়ে যাত্রী সংখ্যা ২২০ জন, সখেরবাজারে এই সংখ্যা মাত্র ৫৫ জন। এই স্টেশনগুলিতে গত ১ অগাস্ট টোকেন, নতুন স্মার্ট কার্ড বিক্রি বা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য কোনও বুকিং কাউন্টার খোলা থাকছে না এবং কোনও বুকিং কর্মীও উপস্থিত থাকছেন না। প্রশ্ন হল, কীভাবে এই পাঁচ মেট্রো স্টেশন থেকে যাতায়াত করলে টিকিট পাবেন? মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, স্বয়ংক্রিয় স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন থেকে স্মার্ট কার্ড, টোকেন, QR কার্ড-সহ কাগজের টিকিট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এর আগেই আবাসে বাকি টাকাও মেটাবে রাজ্য, ‘কথা রেখে’ বড় ঘোষণা মমতার
ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে রয়েছে এই মেশিন। এই মেশিনে UPI- এর সাহায্যেও টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। ৬ মাস এই পাইলট প্রকল্প চালু রেখে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখবেন তাঁরা। মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে, যাত্রীরা এই নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানাবেন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আগামী ৬ মাস মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করবেন। ছ’মাস পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।