রাজনৈতিক, সামাজিক নানা পটভূমির বদল ঘটেছে। কিন্তু এই প্রকল্প কেমন যেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলেছে। জমি, নকশা, অর্থ, কাজ শুরুর অনুমতি নানা সমস্যা মিটিয়ে অবশেষে কাজ শুরু হলেও। দীর্ঘ ১৫ বছরে এই প্রকল্পের সাফল্য হল জোকা থেকে মাঝেরহাট মেট্রো চলাচল। স্বল্প যাত্রী নিয়ে, আর্থিক বোঝা কাঁধে চাপিয়ে এই স্বল্প দূরত্বে চলছে মেট্রো। যদিও পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি মেট্রো চালাতে তৎপর হয়েছে রেল। আর সেই কাজেই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হচ্ছে ভিক্টোরিয়া।ভিক্টোরিয়া স্টেশন তৈরি করতে অনুমোদন প্রয়োজন ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
advertisement
আর সঙ্গে ছিল পরিবেশগত ছাড়পত্র৷ কারণ পরিবেশপ্রেমীদের সোজা বক্তব্য ছিল, গাছ কেটে প্রকল্প হবে না। নজরে আসে সুপ্রিম কোর্টের। অবশেষে তাদের নির্দেশে গাছ স্থানান্তর হয়৷ পাল্টা সমসংখ্যক গাছ লাগানো হয়৷ ময়দানেও আরও গাছ বসানো হবে। এই সব মিলিয়েই ময়দানের বুক চিরে চলছে ভিক্টোরিয়ার অদূরে আর এক ভিক্টোরিয়া তৈরির কাজ।কলকাতা মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া স্টেশন যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখান থেকে ১১২ গাছ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
আর মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে প্রকল্প এলাকার ৯৪৬ গাছ সরানো হয়েছে৷ বিশেষ পদ্ধতিতে মূল থেকে গাছকে তুলে একেবারে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তাকে ফের পুনঃস্থাপন করা হয়েছে৷ RVNL আধিকারিকরা বলছেন, গাছের জিও ট্যাগিং করা আছে। ফলে কোন গাছ কেমন আছে, তার পরিচর্যা কেমন চলছে সবটাই নজরবন্দি। আপাতত গাছেদের নতুন ঠিকানা দিয়ে কাজ শুরু ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ৷ আগামী সাড়ে চার বছরে যে কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল।