ট্রেন লেট, দুর্ভোগ, যাত্রী হয়রানি। মেট্র্রোর ব্লু লাইনে এখন এটাই রোজকার ছবি। যাত্রী হয়রানির ছবি এবার মেট্র্রোর গ্রিন লাইনেও। মাসখানেক আগেই চালু হয়েছে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা। পরপর দুই দিন সেই লাইনেই বিভ্রাট। তারপর সময় যায়, ভিড় বাড়তে থাকে স্টেশনে। কিন্তু মেট্রো চালু হয় না। বাড়তে থাকে দুর্ভোগ। বাড়তে থাকে যাত্রীদের ক্ষোভও। নতুন সিগনাল চালু হয়েছে, একমাস হয়নি। খারাপ সিগন্যাল! হ্যারাসমেন্ট হতে হচ্ছে প্রতিদিন, বলছেন অনুষ্কা রায়।
advertisement
আইটি সেক্টরে কর্মরত রোহন সেনগুপ্ত বলছেন, আগে এরকম সমস্যা থাকলে শিয়ালদা থেকেই বাস ধরে নিতাম। সময় নষ্ট। কেউ কিছুর দায়িত্ব নিচ্ছে না। মেট্রো বন্ধ। কিন্তু, তার খবর নেই টিকিট কাউন্টারে। হাওড়া ময়দান এবং শিয়ালদা স্টেশনে টিকিট কেটে বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। হাওড়া ময়দান স্টেশনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। মেট্রোর কর্মীদের সঙ্গে শুরু হয় তর্কাতর্কি।
এক যাত্রী সুতপা বসু বলছেন, বলছে যান্ত্রিক গোলোযোগ। আমার তো মনে হয় বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দে ওরা কাজ ভুলে আনন্দ করবে।বুধবার প্রায় তিন ঘণ্টা পর চালু হয় পরিষেবা। ততক্ষণে অনেকেরই গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আধঘণ্টা পরে শুরু হয় পরিষেবা। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এদিন ট্রেন বন্ধ হয়ে যায় গ্রীন লাইনে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কন্ট্রোলরুম সেন্ট্রাল পার্কে।
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে ভোটে লড়া প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, স্টেজ ফোর ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন! ফের শুরু কেমোথেরাপি
অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন মোডে চলে এই মেট্রো। সেই সিস্টেমে নাকি প্রচুর জাংক ফাইল জমে গিয়েছিল। সেটা কীভাবে ক্লিয়ার করতে হয় তা কর্মীদের জানা ছিল না। সেই জাংক ফাইলের চাপেই পরপর দুই দিন বিভ্রাট। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কী প্রশিক্ষণ দেওয়া হল মেট্রোর কর্মীদের? নাকি নতুন হোক বা পুরোনো, মেট্রোয় দুর্ভোগই এখন যাত্রীদের সঙ্গী?