সাহানা নিত্যদিন মেট্রোয় যাতায়াত করেন। তাঁর ভাষায়, ” ট্রেন করটা লেট, তা আমাদের জানাতে চায় না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দিশা রায় ও রিচা প্রামাণিকও মেট্রোযাত্রী, তাঁরা বলছেন, ” কোন মেট্রো কখন আসছে বোঝা যাচ্ছে না। হ্যারাসমেন্ট। কখন ক্যানসেল হচ্ছে তাও বোঝা যায় না। ঘোষণা নেই। অফিসে দেরি হচ্ছে। কাজে দেরি। ডিসপ্লে বোর্ড নেই। কিছু জানার উপায়ও নেই।”
advertisement
কলকাতার লাইফলাইন মেট্রো। মাস দু’য়েক ধরে সেই মেট্রো মানেই ভোগান্তি। প্রতিদিনই লেট। প্ল্যাটফর্মে উপচে পড়া ভিড়। ভিড়ের চাপে অফিস টাইমে একের পর এক মেট্রো মিস। স্কুল-কলেজ যেতে দেরি। অফিস যেতে দেরি। নাজেহাল যাত্রীদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কি পিঠ বাঁচাতে ডিসপ্লে বোর্ডই অফ করে দিল মেট্রো? শনিবার থেকে ব্লু লাইনের বিভিন্ন স্টেশনে ডিসপ্লে বোর্ড অফ। এসপ্ল্যানেড, গিরিশ পার্ক, সেন্ট্রাল, যতীনদাস পার্ক, রবীন্দ্রসদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ডিসপ্লে বোর্ড অন্ধকার। মেট্রো চলছে কিনা সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। ফলে, মেট্রো লেট কিনা সেটা বোঝারও উপায় নেই।
দীপক সেন, মেট্রোযাত্রী বলছেন,” নীচে নেমে জানতে হচ্ছে, মেট্রো চলছে কি চলছে না। তারপর জানা যাচ্ছে ট্রেন চলছে না। ডিসপ্লে হলে ভাল হয়। কী ট্রেন বোঝা যাচ্ছে না। এক সময়ে মেট্রোর ডিসপ্লে বোর্ড দেখে হাতের ঘড়ির সময় মিলিয়ে নেওয়া যেত। এতটাই সময়ে চলতো কলকাতা মেট্রো আর এখন ডিসপ্লে বোর্ডেই আঁধার। যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে পিঠ বাঁচানোর নয়া কৌশল।”