১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর মাত্র ৩.৪ কিলোমিটার পথে এসপ্লানেড থেকে ভবানীপুরের মধ্যে পরিষেবা শুরু হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর। পরে অবশ্য ভবানীপুর স্টেশনের নাম বদলে নেতাজি ভবন রাখা হয়। মেট্রোর সেই ৩.৪ কিলোমিটার পথ এখন এসে ঠেকেছে ৫৮.৪ কিলোমিটারে। উত্তর এবং দক্ষিণে দমদম থেকে টালিগঞ্জের মধ্যে চলা মেট্রো দক্ষিণে নিউ গড়িয়া এবং উত্তরে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। শুধু উত্তর-দক্ষিণে মেট্রোর পরিষেবা সম্প্রসারিত হওয়াই নয়, ধাপে ধাপে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি, জোকা থেকে মাঝেরহাটের মতো দু’টি সম্পূর্ণ নতুন পথে ঘটেছে মেট্রোর সম্প্রসারণ।
advertisement
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ লাইনের নিত্যযাত্রীদের জন্য বিরাট খবর! সময় পাবেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড, তার মধ্যেই যা করতে হবে…
এ ছাড়াও, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পথে পরিষেবা শুরু হয়েছে। গত এক দশকে আরও প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ মেট্রো পরিষেবার আওতায়এসেছে। বেশ কিছু পথে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে। আরও দক্ষিণে বা হাওড়ায় সম্প্রসারণ নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর এসপ্ল্যানেড থেকে প্রথম যাত্রী নিয়ে শুরু হয়েছিল মেট্রোর পথ চলা। তার পর কেটে গিয়েছে বহু বছর। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বার বার নিজেকে পরিবর্তন করে সমান তালে চলছে মেট্রো।বাতানুকূল ছাড়া সাধারণ কামরা নিয়েই দীর্ঘদিন সগর্বে চলেছে কলকাতার মেট্রো। ২০১০-র ৭ অক্টোবর মেট্রোয় প্রথম আসে বাতানুকূল কামরা। তখন সংখ্যাটা ছিল মাত্র দুই। তার পর ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে এখন মেট্রোর সব কামরাই বাতানুকূলে উত্তীর্ণ হয়েছে। এবং আগামিদিনে তাই-ই বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছেন মেট্রো রেলের কর্তারা। দু’বছর আগে নন এসি কামরাকে ৩৮ তম জন্মদিনে বিদায় দিয়েছে কলকাতা মেট্রো।
চল্লিশ বছরের জন্মদিনের আগে প্রথম মেট্রো যাত্রার ইতিহাস মনে করালেন সেদিনের দুই চালক সঞ্জয় শীল ও স্বপনকুমার নাগ। সঞ্জয় শীল জানিয়েছেন, ‘তারিখটা এখনও মনে আছে। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর। সেদিনও বুধবার ছিল। ধমর্তলা থেকে ভিড়ে ঠাসা মেট্রো পৌঁছেছিল ভবানীপুরে। যাত্রা শেষ, তবু মেট্রো থেকে নামতে চাইছিলেন না যাত্রীরা! আরও কিছুক্ষণ তাঁরা থাকতে চাইছিলেন রেকে। চালক হিসেবে এত তৃপ্তি কোনও দিন পাইনি।’ স্বপনকুমার নাগ মনে করালেন, ‘দিনটার কথা এখনও মনে পড়ে। স্টেশনের বাইরে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। সেই ভিড় ঠেলে কোনওমতে ধর্মতলা মেট্রো স্টেশনে ঢুকেছিলাম সেদিন।’
