চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদন নিয়ে মামলা করার অনুমতি চান আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আগামীকাল এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৬ সালের পরে আর ছাত্র নির্বাচন হয়নি। ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছিল। তার আগে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেই যোগ দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, এখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। পাশাপাশি, বিষয়টা অন্য ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও জানিয়ে দিতে বলা হয়। মৌখিক ভাবেই অন্যদের বিষয়টি জানিয়ে দিতে বলা হয়।
advertisement
এখানেই আপত্তি তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তারপরই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় মেডিক্যাল কলেজের করিডরে। অভিযোগ, রাতভর ঘেরাওয়ের ফলে অনেক বিভাগীয় প্রধানরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁদের কোনও কথা কানে তোলেননি বিক্ষোভকারীরা। এদিকে নার্সিং সুপারও ঘেরাওয়ের মধ্যে আটকে পড়ে যান। তাঁকে ছাড়িয়ে আনার জন্য নার্সরাও এসে পাল্টা অবস্থান শুরু করেন। তাঁদের দাবি, আমাদের নার্সিং সুপারকে ছেড়ে দিতে হবে। না হলে অনেক সমস্যা হবে কাজে।
আরও পড়ুন, ভূপতিনগর, পাঁশকুড়ার বিস্ফোরণে এনআই তদন্ত চেয়ে মামলা! আজই শুনানি হাইকোর্টে
মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ভোট করানোর ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। অন্যদিকে, গোটা বিষয়টি প্রবল বিপাকে পড়েছেন রোগীর পরিজনদের একটা বড় অংশ। হাসপাতালের কিছু কাজে সুপারের সই লাগে। কিন্তু ঘেরাওয়ের জেরে তাঁরা সুপারের সঙ্গে দেখাও করতে পারেননি বলে দাবি। ঘেরাও তুলে রোগীর পরিজনদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। এক রোগীর আত্মীয়দের দাবি, তাঁদেরও পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক। উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ।
আরও পড়ুন, গুজরাত পুলিশের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, প্রতিহিংসার অভিযোগ ডেরেকের
অন্যদিকে, এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ইন্টার্নরাও। চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। যদিও এক বিক্ষোভকারী সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। যাঁদের ডিউটি নেই, তাঁরাই একমাত্র বিক্ষোভ সামিল হয়েছেন।