কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পূর্ব নির্ধারিত ২২ তারিখেই নির্বাচন করবে ছাত্ররা। আজ, মঙ্গলবার থেকে নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া তারা শুরু করবে। সমাজের চারজন বিশিষ্ট নাগরিকের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন হবে বলে দাবি ছাত্রদের। বিনায়ক সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, সুজাত ভদ্র, আম্বিকেশ মহাপাত্র এই নির্বাচন সংগঠিত হবে। চারটি বর্ষের আড়াইশো জন করে মোট ১০০০ জন ভোটার। সব মিলিয়ে প্রার্থী ২০ জন।
advertisement
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ছাত্ররা এই মেডিক্যাল কলেজের ফাঁড়ি এবং বউবাজার থানায় লিখিত আকারে নির্বাচনের বিষয়ে জানাবে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে মেল করে এবং লিখিত আকারে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ২২ তারিখ নির্বাচনের বিষয়টি জানানো হবে ছাত্রদের তরফে।
ছাত্রদের আরও দাবি, নির্বাচনের জন্যে বারংবার জানানো হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ নেন নি। তাই এই সিদ্ধান্ত। ১৯২৮ সালে একই কায়দায় নির্বাচন হয়েছিল। সেই ছাত্র সংসদ ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ছিল। সেই একই কায়দায় নির্বাচন করতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা। মেডিক্যাল কলেজের যে কোনও পড়ুয়া এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
গত ১২ দিন ধরে নির্বাচনের দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনড় ছিলেন নিজেদের দাবিতে। অনশন চলাকালীন বেশ কিছু পড়ুয়া অসুস্থও হয়ে পড়েন। একাধিকবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হলেও সেখান থেকে কোনও উত্তর উঠে আসেনি। স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসে কথা বললেও মেটেনি সমস্যা। শেষ বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। বৈঠকের মাঝপথ থেকে বেড়িয়ে যান অধ্যক্ষ। তারপর স্বাস্থ্যভবনেও একাধিক বৈঠক হয়। অবশেষে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ নাগাদ সেই অনশন তাঁরা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
তবে এই বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় জানান, ‘‘সরকারি পরিকাঠামোতে এমন হয় কি না, তা আমার জানা নেই।’’