গত কয়েক বছর ধরে পুজোর লড়াইয়ে মেতে থাকে, দক্ষিণের চেতলা অগ্রণী আর নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘ। যদিও ক্লাবের নামে নয় পুজো পরিচিত ববি ও অরুপের পুজো বলেই। যারা রাজনীতির খবর রাখেন তারা জানেন দোল আসলে জনসংযোগের একটা মাধ্যম। সেই হিসেবে ধরলে, নিপুণ ভাবে পাড়ায় হুল্লোড় আর ভোটের প্রচার দুটোই সামলালেন দক্ষ হাতে। দলে ফিরহাদ হাকিমের ভাই অরুপ বিশ্বাস অবশ্য দোল খেলেন না। তবে তার ক্লাব আয়োজন করেছে হোলি-কা-দহন অনুষ্ঠান। তবে তা সন্ধ্যায়। কিন্তু সকাল থেকেই লাল, সবুজ, নীল, হলুদ রঙে মেয়রের পড়নের পাঞ্জাবি যেন ক্যানভাস। পাড়ার পুঁচকে থেকে "ববি" র বন্ধু সবাই যেমন ববি'কে রঙ মাখিয়েছে। তেমনি পাড়ার ছেলেও রঙ মাখিয়েছেন সবাইকে। মেয়রের কথায়, "বছরে এই একটা দিনই তো আছে। তাই সব কিছু ভুলে আজ আনন্দ করার দিন। সেখানে আমি কে? কেন? সেসব ভেবে আজ লাভ নেই।"
advertisement
সেই আনন্দের সব উপকরণ মজুত ছিল ববি'র দোলে। সকাল সকাল সাদা পাঞ্জাবি পড়ে বাড়ির লনে হাজির ফিরহাদ হাকিম। দেখা করতে এসেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নাতি। তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প গুজব করার পরে একেবারে পাড়ার মাঠে হাজির তিনি। যতটা না রঙ মাখালেন, তার চেয়ে বেশি রঙ মাখলেন তিনি। সবুজ,লাল, হ্লুদ, নীল, গোলাপি ভেষজ আবিরে মেয়র ছিলেন "কালারফুল"....ছিলেন বটে, তবে মনের দুঃখ চেপে রাখতে পারলেন না তিনি। দুঃখই বটে, সেটা কি? " আসলে ছোটবেলায় দারুণ রঙ মাখতাম। বন্ধুদের সাথে গুছিয়ে আড্ডা দিতাম। কিন্তু এখন যা বয়স হয়েছে, তাতে আর সেই আগের মুহুর্তে পৌছতে পারছিনা। রঙ মাখিয়ে তো আর দৌড়ে পালাতে পারব না।" তবে মেয়র স্মরণ করে দিয়েছেন, আনন্দ করুন, তবে জোর করে কাউকে রঙ মাখাবেন না।
মেয়রের পাড়ার হোলি বলে কথা। তাতে খানা-পিনা থাকবে না সেটা আবার হয় নাকি। নানা ধরণের শরবতের পাশাপাশি ছিল কাবাব, পকোড়া আর বিরিয়ানি। গোটা দিন জুড়ে এসেছেন নানা মানুষ। নানা গানে মেতে উঠেছিল মেয়রের দোলের অনুষ্ঠান। তবে মেয়রের সাফ জবাব, আসল রঙ তো আমাদের ঐক্য, আমাদের একতা। ফলে ফাগুন হাওয়ায় পালিত হল ববি'র দোল।
ABIR GHOSHAL