ছাত্রী দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের বাইরে, মেয়ের ফোন পেয়ে সেখানে আসে বাবা৷ এরপরেই সেই সময় কলেজের বাইরে থেকে তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে যান৷ তাই ভিকটিমের পর এবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর বাবার গোপন জবানবন্দি করাতে চাইছে পুলিশ৷ এই আবেদন আলিপুর আদালতে করা হয়েছে বলে খবর৷
advertisement
এদিকে এই মুহূর্তে মনোজিতের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে৷ সোমবার দিন ফের এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ৷ পিকনিকে গিয়েও মেয়েদের তাক করত মনোজিৎ৷
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ।
সাউথ কলকাতা ল কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী জানালেন,‘‘কলেজ পিকনিকে গিয়ে মনোজিৎ অভ্যব আচারণ করত জুনিয়রের সঙ্গে৷ সামনে বোন দিদি বলে কথা, পরে সেই আবার আড়ালে কু প্রস্তাব দিত৷ কেউ প্রোটেস্ট করলে বলত, দেখবি ওই মেয়েটি আমার দলে হয়ে যাবে৷ আমি রাজি হয়নি। আমাকে কালচারাল প্রোগামের সেক্রেটারি করে দেব বলেছিল।’’
তিনি জানান পিকনিকে পৌঁছে মহিলা পড়ুয়াদের সে প্রথমে দিদি বা বোন বলে শুরু করত৷ কিন্তু এরপর সে তাঁদের দিকে হাত বাড়াত৷ পিকনিকের মধ্যেই চলত অভ্যবতা৷
কসবা কাণ্ডে ঘটনার ২ দিন আগেই পরিকল্পনা করে ফেলেছিল মনোজিৎ। তরুণী ছাত্রী ফর্ম ফিলআপ করতে আসার পর থেকেই তাকে নিশানা করে নিয়েছিল মনোজিৎ৷ তাকে নানা অছিলায় ইউনিয়ন রুমে আটকে রাখার জন্য জইব ও প্রমিতকে নির্দেশ দিয়েছিল মনোজিৎ। প্রথমে সহবাস করার জন্য বলা হবে, রাজি না হলে গার্ডরুমে ধর্ষণ করা হবে ছাত্রীকে। এমনই পৈশাচিক পরিকল্পনা ছিল মনোজিতের।
Input- ANUP CHAKRABORTY