এই ঘটনার থেকেই স্পষ্ট যে ছোট-বড় সব হোটেলেই অগ্নি নির্বাপণে বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন, ধোঁয়া শনাক্তকরণের ব্যবস্থা, অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, জরুরি প্রস্থান পথ নিশ্চিত করা এবং অগ্নি নিরাপত্তা নীতি প্রণয়নের মতো বিষয়গুলি।
অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি হল-
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: বিভিন্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা উচিত, যেমন – রান্নাঘর, লবি, করিডর, এবং হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে।
advertisement
ধোঁয়া শনাক্তকরণ ব্যবস্থা: ধোঁয়া শনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন স্থানে স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা উচিত, যা অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক অবস্থায় সতর্ক করতে পারে।
আরও পড়ুন– দিনভর হোমযজ্ঞ, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ঘিরে শুরু উৎসব
অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ: হোটেলের কর্মীদের অগ্নিকাণ্ডের সময় কী করতে হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
জরুরি প্রস্থান পথ: অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত প্রস্থান করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক জরুরি প্রস্থান পথ নিশ্চিত করতে হবে।
অগ্নি নিরাপত্তা নীতি: হোটেলে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন করতে হবে, যা কর্মীদের অগ্নিকাণ্ডের সময় কী করতে হবে, তা জানাতে সাহায্য করবে।
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের পরিচালনা: কর্মীদের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার এবং পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ: নিয়মিতভাবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত, যাতে তা সবসময় কার্যকরী থাকে।
অগ্নিকাণ্ডের সরঞ্জাম: অগ্নিকাণ্ডের সরঞ্জাম, যেমন – ফায়ার কম্বল এবং ফায়ার হোজের মতো সরঞ্জাম স্থাপন করা উচিত। ফায়ার অ্যালার্ম:ফায়ার অ্যালার্ম স্থাপন করে আগুনের প্রাথমিক পর্যায়ে সতর্ক করা উচিত।
স্প্রিংকলার সিস্টেম: স্প্রিংকলার সিস্টেম স্থাপন করা হলে, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।
ফায়ার হাইড্রেন্ট: ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হলে, অগ্নিনির্বাপণে জল সরবরাহ করা সহজ হবে।
অগ্নিনির্বাপণের পথ: অগ্নি নির্বাপণের পথ সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত, যাতে কেউ সহজে বেরোতে পারে। অগ্নি নিরাপত্তা পরিদর্শন:নিয়মিতভাবে অগ্নি নিরাপত্তা পরিদর্শন করা উচিত, যাতে কোনও সমস্যা থাকলে তা আগে থেকে চিহ্নিত করা যায়।
আরও পড়ুন- ‘ভিন্ডি শিঙাড়া’ কখনও খেয়েছেন? দিল্লির এই বিশেষ খাবার এখন তুমুল ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
অগ্নিকাণ্ডের প্রশিক্ষণ: অগ্নিকাণ্ডের সময় কি করতে হয়, তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, যেমন – RACE পদ্ধতি (Rescue, Alert, Confine, Evacuate)।
সুরক্ষার সরঞ্জাম: কর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম, যেমন – শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য মাস্ক এবং সুরক্ষা পোশাক সরবরাহ করা উচিত।
অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা: একটি সুস্পষ্ট অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকতে হবে, যা অগ্নিকাণ্ডের সময় কি করতে হবে, তা নির্ধারণ করে।
অগ্নি প্রতিরোধ: দাহ্য পদার্থ, যেমন – কাগজ, কার্ডবোর্ড, এবং অন্যান্য সহজে আগুন ধরানো জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে। এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে, হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং কর্মীদের ও অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।