সিনিয়র রেসিডেন্টদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পরে তিন বছরের ‘বন্ড’ থাকে। সেই বন্ড অনুযায়ী সরকারের তরফে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কোথায় কাকে নিয়োগ করা হবে, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এবং মেধাতালিকার ভিত্তিতে তা ঠিক করা হয়। মেধাতালিকায় থাকা চিকিৎসকেরা পোস্টিংয়ের জন্য বেছে নিতে পারেন পছন্দের জায়গা। যাঁদের নাম তালিকার উপরের দিকে থাকে, তাঁরা আগে সুযোগ পান। কিন্তু অভিযোগ, দেবাশিসদের ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়া মানা হয়নি। সেই কারণে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দেবাশিস, আসফাকুল্লারা৷
advertisement
দেবাশিস হালদার ও আসফাকুল্লা নাইয়ার আইনজীবী অর্ক মাইতির দাবি, কাউন্সিলিংয়ের নিয়ম না মেনে বদলি করা হয়েছে চিকিৎসকদের। আইনজীবী অর্ক আরও জানান যে, মামলাকারী চিকিৎসকেরা বন্ডে কাজ করেন এবং রাজ্য সরকারের কোনও প্রশাসনিক পদ বহন করেন না।
আরজি কর হাসপাতালে স্নাতকোত্তর ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল৷ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ চিকিৎসকদের সেই আন্দোলনে প্রথমসারিতে ছিলেন এই তিনজন৷ দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া এবং অনিকেত মাহাত৷
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়মেও এসেছে বড় বদল…নয়া বিজ্ঞপ্তিতে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম SSC-র
দেবাশিসদের অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের নিয়ম না মেনেই তাঁদের দূরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে৷ দেবাশিস চেয়েছিলেন হাওড়ায় পোস্টিং, কিন্তু পেয়েছেন মালদার গাজোলে৷ বাকি দু’জনও পছন্দের পোস্টিং পাননি৷ পছন্দের ‘পোস্টিং’ না দেওয়া নিয়ে ‘অনৈতিক’ কাজের অভিযোগ তুলে ডব্লিউবিজেডিএফ-এর তরফে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানেই বসেছিলেন দেবাশিসরা।