এদিন কুন্তল ঘোষ নিয়ে আদালতে একাধিক রিপোর্ট পেশ করে ইডি-সিবিআই৷ সিবিআইয়ের তরফে হাইকোর্টকে জানানো হয়, জেলে কুন্তল ঘোষের সেলের কাছে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷ যা যথেষ্ট সন্দেহ জনক বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে কি কেউ খবর পৌঁছে দিচ্ছে কুন্তলকে? উত্তর মেলেনি৷
আরও পড়ুন: ‘টাকা দিয়ে চাকরি কিনে কারা কাজ করছে?’, ED-CBI এর কাছে তালিকা তলব বিচারপতি অমৃতা সিনহার
advertisement
পাশাপাশি, তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে যে অভিযোগ এনেছিলেন কুন্তল, সেই অভিযোগেরও কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি ইডির৷ অন্যদিকে, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, কুন্তল ঘোষের অভিযোগ অসত্য৷ নির্যাতন সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি আছে৷ কুন্তলের চিকিৎসক, পরিবার এবং আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে৷ আদালতে রীতিমতো রিপোর্ট পেশ করে এ কথা জানিয়েছে সিবিআই ও ইডি৷
এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে গোয়েন্দাদের প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয় কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই। কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৩টি স্থাবর – অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। অভিযুক্ত ও তাঁদের পরিজনদের নামে এই সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি৷
আরও পড়ুন:ভোট যেতেই মাথা কামিয়ে ফেললেন! অদ্ভুত ছবি শুভেন্দুর জেলায়, তুমুল শোরগোল
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ১২৬.৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এই মুহূর্তে ইডির নজরদারিতে রয়েছে। ৩৫০ কোটি পর্যন্ত এই দুর্নীতি অঙ্ক পৌঁছতে পারে রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি৷
এছাড়াও, বাংলা চলচ্চিত্র জগতেও এই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা৷ সম্প্রতি ১৯ টি জায়গায় একযোগে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও পরিবারের নামে সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে৷ এই সমস্ত কথাই এদিন আদালতকে জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷