অভিযোগ ছিল, বহুদিন ধরেই স্থায়ী উপাচার্য বিহীন রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়৷ অস্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধি করেই চলছিল কাজ৷ এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল৷ প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও৷ তবে বিষয় আরও জটিল হয়, যখন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষা দফতরকে উপেক্ষা করে রাজ্যের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।
advertisement
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্যপাল একতরফা ভাবে ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন। ব্রাত্য বসু প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন এই নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই এই নিয়োগ রাজ্য সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। এমনকি, উপাচার্যদের বেতনও আটকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
গত ১২ জুন উচ্চশিক্ষা দফতরের স্পেশাল কমিশনারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। পাশাপাশি, একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ডঃ সনৎ কুমার ঘোষ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে হাইকোর্টের কাছে আবেদন রাখেন, রাজ্যপাল আইনের পরিধির বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন৷ এই উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে আদালতের হস্তক্ষেপে আর্জি জানান তিনি। একক বেঞ্চ রাজ্যপালের পক্ষে রায় দিলে এ নিয়ে ফের ডিভিশন বেঞ্চে যান আবেদনকারী৷
সেই জনস্বার্থ মামলাই খারিজ হল বুধবার। আচার্য ১৩ জন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলেও উপাচার্য পদে যোগদান করেছিলেন ১১ জন। এদিন হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল যে, ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে কোনও ত্রুটি নেই। স্বভাবতই এই রায়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য৷