একটি পদের জন্য একাধিক আইনজীবী লড়বেন এটাই স্বাভাবিক।আইনজীবীরা কালো কোর্টের বাইরে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত সেটা ধরেই এতদিন বলা হত ওমুক বাম ওমুক তৃণমূল বা বিজেপি। চলতি বছরের ভোটের উন্মাদনা লাগামছাড়া। হাইকোর্ট পাড়া কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকদের কাট আউটে। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থিত প্যানেলে ছবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। ১০০% স্বচ্ছতার ডাক তৃণমূলের প্রচার বোর্ডে। এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ এবার তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন- রাজ্যে করোনার দাপট অব্যাহত, কলকাতায় ফের একদিনে আক্রান্ত ২০০ পার!
ভোট শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেই বিশাল তাঁবু খাটানো হয়েছে ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট ও কিরণ শঙ্কর রায় রোডের সংযোগস্থলে। বিধানসভায় একাই ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল কংগ্রেস। গত রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস আইনজীবী সেলের বিজয়া সম্মিলিনী মঞ্চে বারের ভোটে টার্গেট তৈরি করে দেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ২২-২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর টোটকা দিয়ে, তাঁর বার্তা বিপুল ভোটে জিততে হবে এবারের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন।
আগের নির্বাচনে তৃণমূল কিছু আসন জিতলেও সভাপতি, সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি চলে যায় কার্যত বিজেপির দখলে। কিছুটা ছাপ রাখে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা। এবারের ভোটে সভাপতি পদে লড়ছেন সর্দার আমজাদ আলি তৃণমূলের প্যানেলে। আমজাদের বিপরীতে কংগ্রেসের ডাকাবুকো অরুণাভ ঘোষ। লড়াইয়ে রয়েছেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিজেপি প্যানেলের প্রমীত রায়। উকিলপাড়ার প্রচলিত কথা, হাইকোর্ট বার যার দখলে যায় তাদের জন্য আদালত পরিচালনায় কিছুটা অ্যাডভ্যান্টেজ অবস্থান তৈরি হয়। সম্পাদক পদে টানটান লড়াই এবার তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিআইএম প্যানেলের আইনজীবীদের।
আরও পড়ুন- কলকাতা-হাওড়া পুরসভার ভোট প্রস্তুতি, সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক কমিশনের
বিজেপি নেতা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ পার্থ ঘোষ সম্পাদক পদে লড়ছেন এবার। এই পদটি আগেরবার জেতে বিজেপি প্যানেলের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। ২০১৯ লোকসভায় রাজ্যে বিজেপি ভালো ফলের পর তার একটা প্রভাব দেকা যায় আইনজীবীদের মধ্যেও। কার্যত সেই সময়ের গেরুয়া ঝোঁকে সেবার ফিকে হয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, বামেরা। এবার রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি আলাদা। তৃণমূলের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ঝাঁপানো। হাইকোর্টের ইতিহাসে বুথ ক্যাম্প গড়ে নিজেদের শিবিরকে চাঙ্গা রাখা। সবই চলছে সমানে। তবে আইনজীবীদের ভোট পড়ে তাদের নিজস্ব পরিচিতি, আইনজীবী হিসেবে ভালো কাজ, এমনই নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। শেষ হাসি কে হাসে তারই অপেক্ষায় যুযুধান সবপক্ষ।
অর্ণব হাজরা