#কলকাতা: নিজ নিজ সংসদীয় ক্ষেত্রে করোনা, লকডাউন, আনলক-এর সময় ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে পারবেন সাংসদরা। মঙ্গলবার বালুরঘাটের সংসদ ডক্টর সুকান্ত মজুমদারের মামলায় নির্দেশ বিচারপতি দেবাংশু বসাকের। তবে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট, কোভিড ১৯ নির্দেশিকা মানলে তবেই ত্রাণ বিলি করা যাবে। হাইকোর্টের এমন নির্দেশে কার্যত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন রাজ্য বিজেপি সাংসদরা। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাদের অভিযোগ ছিল নিজের নিজের সংসদীয় এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে না দিতে পারছেন না তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের এ দিনের নির্দেশে বিজেপি সাংসদরা নিজেদের এলাকায় পৌঁছাতে পারবেন ত্রাণের ঝোলা হাতে নিয়ে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এলাকায় ত্রাণসামগ্রী দিতে আর কোনও পুলিশি বাধা রইল না বিজেপি সাংসদ এর কাছে।
advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২০ লকডাউন চলাকালীন বালুরঘাটের বিভিন্ন গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করতে যান সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার। ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয় লকডাউন চলাকালীন সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে সাংসদ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে পারবেন না। প্রশাসনের সাহায্যে তা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে। নিজেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাবেন এমন অবস্থানে সাংসদ অনড় থাকায় জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। পুলিশ-প্রশাসন ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে হোম কোয়ারেন্টাইন এর চিঠিও ধরায় বলে অভিযোগ।ভিডিও কনফারেন্সে অতি জরুরি মামলার শুনানি হচ্ছে হাইকোর্টে। এর আগে তিন দিন মামলাটি শুনানির কাছাকাছি এসে পৌঁছালেও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তা সম্পূর্ণ করা যায়নি। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, কেন্দ্রের লকডাউন নির্দেশিকা মেনেই করনা মোকাবিলার সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য। কোভিড ১৯ সমস্ত নির্দেশিকা মেনে কোনও সাংসদ ত্রাণসামগ্রী বন্টন করতে চাইলে রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যের এমন মনোভাব জেনে নেওয়ার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক নির্দেশ জারি করেন নিজ নিজ সংসদ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করতে পারবেন সাংসদরা। বালুরঘাট সাংসদের আইনজীবী অরিজিৎ বক্সি জানান, "দেশের আইন প্রণেতা নিজের সংসদীয় এলাকার মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারবেন না, লকডাউন এর অসময়ে ত্রাণ বিলি করতে পারবেন না এটা হতে পারে না। হু এবং আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে আদালতের কাছে একাধিক যুক্তি আমরা তুলে ধরি। হাইকোর্ট আমাদের যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে ত্রাণ বিলিতে অনুমতি দিয়েছে।"