মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাফিক বিদ্যুৎ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিইএসসির সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলতে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের একজনের চাকরির ব্যবস্থা যাতে করা হয় সেজন্য সিইএসসির সঙ্গে কথা বলতে হবে বিদ্যুৎ দফতরকে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই সেই পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরকে। অন্যদিকে যারা মারা গিয়েছেন তাদের বাড়িতে প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো ।
advertisement
উত্তর কলকাতায় ইতিমধ্যেই জল নামতে শুরু করেছে। দক্ষিণ কলকাতার বেশিরভাগ অংশই জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাফিক মুখ্য সচিব নজরদারি চালাচ্ছেন। হাওড়া পুরসভা ও কলকাতা পুর সভা সমন্বয়ে রেখেই কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমি মেয়র, মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে একটানা যোগাযোগ রাখছি। ফরাক্কায় সঠিকভাবে ড্রেজিং করা হয় না, তাই বৃষ্টি হলেই বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মুম্বই বা দিল্লিতে জল জমে। এবারের বৃষ্টিটা একেবারেই অস্বাভাবিক, অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। আমি ২-৩দিন ধরেই সতর্ক করছি। এরকম বৃষ্টি আমরা কখনও দেখিনি। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমি ভীষণ দুঃখিত। আজ স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছি, অফিসযাত্রীদেরও কাজে না যাওয়ার জন্য বলেছি। কালও অফিসে না যাওয়াই ভাল।’’