#কলকাতা: রেইন ডিয়ারে টানা স্লেজগাড়ি নয় । এখানে সান্টা আসবেন নৌকা চড়ে । একজন নয় তিন-তিন জন সান্টাক্লজ। প্রায় ১২০০ বাচ্চার জন্য উপহার নিয়ে হাজির হবেন খোদ কলকাতার গাঙ্গুলীবাগানে। ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে সান্টাদের ঝুলি থেকে বার হবে কেক আর উপহার।
advertisement
ঘাবড়ে গেলেন তো? একের বদলে তিন সান্টা কেন? কেন ইউনিটি কেক? জানতে হলে আপনাকে যেতে হবে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলোনির গাঙ্গুলীবাগানে। ডাস্টবিন সরিয়ে নোংরা সাফ করে যেখানে থিম জলাশয় বানিয়েছেন এক ৭০ বছরের বৃদ্ধ । নাম পরিমল দে। পেশায় একজন ছুতোর মিস্ত্রি। সারা জীবনের রোজগার থেকে পয়সা বাঁচিয়ে সঞ্চয় করেছেন। পরিকল্পনা একার হাতে সরাবেন জঞ্জালের পাহাড়। প্লাস্টিকের দূষণ। সেইমত বিনা কর্পোরেশন বিনা NGO-র সাহায্যেই সাজিয়ে ফেলেছেন বিদ্যাসাগর কলোনির গাঙ্গুলীবাগান এলাকা।
ইন্দোনেশিয়ার রেইনবো ভিলেজের স্টাইলে গড়ে তুলেছেন কলকাতার রেইনবো ভিলেজ। নাম মাদার থিম পার্ক। শুধু জলাশয় নয়, আশেপাশের বাড়িঘরের গায়েও পড়েছে রামধনু রঙের ছোপ। জঞ্জালের দুর্গন্ধ সরিয়ে সত্যি পুকুরের স্বচ্ছ জলে সত্যিকারের হাঁসচরা সময়। এবারের ক্রিসমাসে।
বাঙালির যীশুপুজোর দিন সত্যিকারের সান্টাক্লজ হয়ে উঠবেন প্রচার বিমুখ সেই মানুষটা। পরিমল দে যাঁর নাম। তবে ২৫-ডিসেম্বরের বিকেলে পরিমল দে নিজে নন, তিনজনকে আনা হচ্ছে সান্টাক্লজ সাজিয়ে। তাঁরাই এলাকার ১২০০ গরীব বাচ্চার জন্য নিয়ে আসবে উপহার- কেক। উদ্দেশ্য, বড়দিনটা সত্যিকারের বড়দিন হয়ে উঠুক সমস্ত শিশুর জন্য। সম্প্রীতিতে বেড়ে উঠুক তারা। গর্ভবতী মায়েদের জন্য থাকছে পুষ্টিকর খাবারও।
সেন্ট নিকোলাসের সান্টাক্লজ হয়ে ওঠার গল্পটা কোথাও যেন সত্যি হয়ে যাচ্ছে বাংলার ৭০ বছরের পরিমল দে'র হাত ধরে।