সৌজন্যে বিধাননগর নলবনে রাজ্য মৎস দফতর আয়োজিত ফিশ ফেস্টিভাল। শীতের দিনে বেলা গড়াতেই শহরের ভোজনরসিকদের ঠিকানা নলবনের ফিশ ফেস্টিভাল। হবে না-ই বা কেন! এক ফ্রেমে হাত ধরাধরি করে শহরের সব নামি ব্র্যান্ডের খাবার। ফিশ তন্দুরির পাশে ফিশ বল, বাটার ফ্রাই, পাতুরি। দামও নাগালের মধ্যে। চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে নামী ব্র্যান্ডের ফিশ বাটার ফ্রাই বা মুচমুচে ফিশ ফ্রাই কবে মিলেছে হাতের নাগালে! কাগজের প্লেটে রকমারি স্টার্টার সাজিয়ে উষা উত্থুপের লাইভ পারফর্ম্যান্সের সামনে বসে গেলেই সময় কাবার। ফিশ ফেস্টিভালে জনমানসের এমন আগ্রহে মন গলেছে রাজ্য মৎস দফতরেরও।
advertisement
তিন দিনের মেলার সময়সীমা আগামী বছর বাড়ানোর আব্দার উঠেছে এখনই। রবিবার ছিল মেলার শেষদিন। পাবদা, পমফ্রেট, চিংড়ি, ইলিশের স্বাদ নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল শহর কলকাতা। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মৎস দফতরের প্রতিমন্ত্রি শ্রীমতি অসীমা পাত্র-কে নাগালে পেয়ে এমন মেলা শহরের অন্যপ্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ-আব্দারও এল। শেষ দিনের ফুটফলের হিসেব দেখে চোখ কপালে মৎস দফতরের আধিকারিকদের। রকমারি পদের নাগালের মধ্যে দাম। মুখে হাজার ওয়াটের হাসি ভোজনরসিকদের। শীতের সন্ধ্যেতে বন্ধু-পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তারিয়ে তারিয়ে ফিশ তন্দুরি আর দেদার সেলফি। বছর শুরুর ছুটি কাটানোর ভাল উপায় এর থেকে আর কী-ই বা হতে পারে! শেষ পাতে নলেন গুড়ের পিঠ-পুলি চেখে দেখার আয়োজনেও যেন ষোল কলা পূর্ণ ভোজনরসিক বাঙালির। এমন মেলার জন্য বছরভর অপেক্ষা কেন! তৃপ্তির ঢেকুড় তুলে মেলা ছাড়ার মুখে আক্ষেপ একটাই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় শহরের প্রতি কোণায় কেন এমন মেলা হবে না! এই না-হলে মাছে-ভাতে বাঙালি।