এদিন দুপুরে কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন যাত্রীরা। শুভ সূচনা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আগামী দিনে আমরা আরও বেশ কয়েকটি বাস বাংলাদেশ এবং কলকাতার মধ্যে চলাচলের ব্যবস্থা করব।'
পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, 'পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে গিয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের এই পরিষেবা চালু হওয়ায় অনেকেই উপকৃত হবেন।'
advertisement
আরও পড়ুন- কলকাতায় ট্রাফিক সিগন্যালে মরণফাঁদ! খোলা মুখ বিদ্যুতের তার ভয় ধরাবে
আপাতত সপ্তাহে তিন দিন কলকাতা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে বাস চলাচল করবে। এদিকে সপ্তাহে তিন দিন বাংলাদেশ থেকে বাস ছেড়ে কলকাতায় পৌঁছবে।
বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী চিকিৎসার কারণে কলকাতায় আসেন। অনেক কম সময় কলকাতায় রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পৌঁছতে পারবেন'।
দুবছর আগে ২০২০ সালের ১২ মার্চ থেকে করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই বাস পরিষেবা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের সহায়তায় সৌহার্দ্য নামের এই বাস পরিষেবা শুরু হল আবার।
পরিবহন দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, ‘আমরা আবার কলকাতা-ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চালু করার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। শ্যামলীর পর এবার গ্রীনলাইন বাস পরিষেবা চালু করা হল।
আরও পড়ুন- চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, রাজ্যে ফের বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা
১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কলকাতা-ঢাকার মধ্যে প্রথম শুরু হয়েছিল যাত্রীবাহী বাস চলাচল। আর আগরতলা-কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল শুরু হয়েছিল ৬ জুন ২০১৫ থেকে। কিন্তু করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে ঢাকা- কলকাতা বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পরিবহন দপ্তর।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ফের ধাপে ধাপে শুরু করা হচ্ছে এই বাস পরিষেবা। আগামী দিনে যাত্রীদের চাহিদামতো বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বললেন পরিবহন দপ্তরের এক কর্তা।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ি