প্রসঙ্গত করোনা আবহে রাজ্য জুড়ে গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কড়া বিধি নিষেধ জারি রয়েছে। যার জেরে বন্ধ ছিল বাস। তাই মিলছিল না পারিশ্রমিক, এমনই অভিযোগ অন্যান্য বাস চালকদের। তাঁদের বক্তব্য, রঞ্জিত মাঝে মাঝেই অভাব অনটনের কথা বলতেন। বাড়িতেও যেতেন না। রাতে বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তেন। বুধবার রাতেও বাসেই ছিলেন। এদিন সকালে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাস না চললে তাঁদের কমিশন বন্ধ। সকলের পরিবার আছে, এই ভাবে কত দিন চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
advertisement
এদিন দেহ উদ্ধারের পর বাস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লেক থানার পুলিস। ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।তবে ওই স্ট্যান্ডের অন্যান্য বাস চালকদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস। তাঁরা যে অভাব অনটনের অভিযোগ করছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুই কী অভাব, নাকি আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিস। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল কিনা তাও খোঁজ করছে পুলিস। অভাবে কারও থেকে টাকা ধার নিয়েছিল কিনা তা জানার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
(Amit Sarkar)