আয়োজকরা কিছুটা আন্দাজ করেছিলেন বইমেলা শুরু হওয়ার আগেই। কিন্তু এবছর এত বেশি সংখ্যক মানুষ বইমেলায় আসবেন, এতটা আশাও হয়ত করেননি। ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এর পিছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে শিয়ালদহ-করুণাময়ী মেট্রো রুট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ শিয়ালদহ ষ্টেশনে নেমে সরাসরি এক মেট্রোয় করে চলে আসতে পেরেছেন বইমেলা প্রাঙ্গণে।"
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ! বইমেলায় কিন্তু হাল্কা মেজাজেই বিচারপতি বসু
গত ১৩ দিনে ২৩ থেকে ২৪ লক্ষ বই বিক্রি হয়েছে বইমেলায়। ব্যবসা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার। ভিড় ছাপিয়ে গিয়েছে গত ৪৫ বছরের রেকর্ড। ই-বুকের জমানায় এখনও পর্যন্ত বই কেনার জন্য কলকাতা বইমেলার এই বিপুল জনসমাগমে আশার আলো দেখছেন প্রকাশকেরা। গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১৭ সালে সল্টলেকে যখন এই বইমেলা স্থানান্তরিত হয়ে আসে, তখন বইমেলায় আসা মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০-১১ লক্ষ। এই কয়েক বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের থেকেও বেশি হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: TMC নামের নতুন ব্যাখ্যা! বাংলা ভাষাতেই মমতাকে তীব্র আক্রমণ জে পি নাড্ডার
শুধুমাত্র আয়োজকরা নন, রেকর্ড গড়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, এবছর এত মানুষের জনসমাগমে কারোর কোনও মোবাইল কিংবা মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগ দায়ের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এবছর সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলে জানান তিনি।