কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ডাল থেকে প্রতি দিন একটি উড়ান যাতায়াত করবে চেন্নাইয়ে এবং অন্য উড়ানটি যাবে মুম্বই। আর কলকাতা থেকে উড়ান যাবে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ-সহ দেশের ছোটবড় সব শহরেই। কলকাতা বিমানবন্দরে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮৫টি উড়ান চলবে। একমাত্র গো-এয়ার ছাড়া বাকি সবক'টি বিমান পরিবহণ সংস্থার উড়ান চলবে কলকাতা থেকে।
advertisement
দীর্ঘ দু'মাস লকডাউনে থাকার পরে দেশে আগামিকাল ২৫ মে থেকে ফের চালু হচ্ছে ডোমেস্টিক উড়ান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনা-আতঙ্ক নির্মূল হয়নি। কাজেই উড়ান চালু হলেও তা হচ্ছে নিয়মিত উড়ানের এক তৃতীয়াংশ। কলকাতায় অবশ্য ডোমেস্টিক বিমান পরিষেবা আগামিকাল, সোমবারের বদলে আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ৷ কারণ তামিলনাডু, মহারাষ্ট্রের মতো পশ্চিমবঙ্গ সরকারও আগামিকাল, ২৫ মে থেকে অন্তর্দেশীয় উড়ান চালুর পক্ষে নয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার নবান্নে জানান, রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে কলকাতা থেকে দেশীয় যাত্রী উড়ান ৩০ মে থেকে চালু করলে ভাল হয়।
করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যজনিত নানা বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে বিমানবন্দরে। কলকাতা এবং অন্ডাল, দুই বিমানবন্দরেই যথাসম্ভব ছোঁয়াচ এড়িয়ে নিরাপত্তাজনিত এবং অন্যান্য তল্লাশি যাতে হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিমানবন্দরে। সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি যাতে লঙ্ঘণ না হয়, সে কথা মাথায় রেখে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকী, নিরাপত্তাজনিত তল্লাশির সময়ে রক্ষীদের যাতে যাত্রীদের সংস্পর্শে না আসতে হয়, তার জন্যও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের এক কর্তা বলেন, "আগামিকাল, সোমবার থেকেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তাই, সে জন্য ইতিমধ্যেই সামগ্রিক প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। তবে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকলেও নিয়মিত কার্গো বিমান চলেছে। তাই, বিমানবন্দর মোটামুটি চালুই ছিল। ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা মোটামুটি মেরামত করা হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা পুনরায় বিমান পরিষেবা চালুর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।"
Shalini Datta