প্রসঙ্গত, কলকাতা বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের এক যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে দুটি ছোট বাঁদর। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল তার মধ্যে একটিকে ধরার আগেই কোথায় যে পালিয়ে গেল তাকে আর দেখাই গেল না ! বিমানবন্দর চত্বরেই শুরু হয় জোর তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এক যাত্রী থাইল্যান্ড থেকে কলকাতা আসছিলেন। বিমানবন্দরের কাস্টমস অফিসাররা রুটিন তল্লাশির সময় তাঁর ব্যাগ খুলতেই ভিতরে দুটি ছোট আকারের বাঁদর দেখতে পান। এর মধ্যে একটি বাঁদরকে উদ্ধার করা গেলেও, আরেকটি কর্মীদের হাত থেকে পালিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল ৮০০-র বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও ‘পলাতক বাঁদর’-এর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
advertisement
Photo: Collected
৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত এখনও ‘নিখোঁজ বাঁদর’। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, পরিবেশ দফতর ও প্রাণী উদ্ধারের বিশেষ টিমকেও খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত চেষ্টার পরও বাঁদর রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানান সুরক্ষার স্বার্থে প্রতিটি জায়গা তল্লাশি করা হচ্ছে। আপাতত যাত্রীদের আতঙ্কের কিছু নেই। রাজ্য বন দফতরের সূত্রে পাওয়া খবর, ইতিমধ্যেই একটা টিম পাঠানো হয়েছে। এয়ারপোর্ট লাউঞ্জের ৮০০ সিসি ক্যামেরার ফিড একাধিকবার চেক করা হচ্ছে। লাউঞ্জ এরিয়ার ডাক্ট খুলে দেখার চেষ্টা চলছে। এই বিশেষ প্রজাতির বাঁদরকে বলা হয় ‘শ্যাঙ্কড ডুক’। যা পরিচিত Pygathrix Nigripes নামে। নীল মুখ, চোখের চারপাশে হলুদ বলয় দেখে এদের আলাদা করে চেনা যায়। ফল, পাতা এই সব খায় ৷ মনে করা হচ্ছে বিমানবন্দরের ভিতরে নয়, বাইরে কোথাও লুকিয়ে আছে বাঁদরটি।
