অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ চালু করার ঘোষণা করেছে। এই প্রজেক্টটি সফল হলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) পরিচালিত অন্যান্য বিমানবন্দরগুলিতেও জারি করা হবে।
advertisement
এই দাম প্রসঙ্গে সংসদে রাঘব চাড্ডা বলেছিলেন, ‘‘এমনিতেই বিমানের ভাড়া আকাশছোঁয়া, এরপর সেখানে জলের বোতলের দাম ১০০ টাকা, চায়ের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সরকার কি বিমানবন্দরে সাশ্রয়ী মূল্যের ক্যান্টিন স্থাপন করতে পারে না?’’ এর পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলির দুর্বল ব্যবস্থাপনারও সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাঘবের এই বক্তব্য ভাইরালও হয়েছিল। বিমানবন্দরে অতিরিক্ত মূল্যের খাবার এবং পানীয়ের বিষয়টি সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন উত্থাপন করেছিলেন রাঘব। এরপর জানা যায় যে কলকাতা বিমানবন্দরে প্রথম উড়ান যাত্রী ক্যাফে চালু করা হয়েছে। যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে জল, চা এবং জলখাবার দেওয়া হবে।
কলকাতা বিমানবন্দরে ১০ টাকাতেই মিলবে চা। সস্তা দরে মিলবে মুখরোচক কিছু খাবারও। এর নেপথ্যে অবশ্য রয়েছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার সাম্প্রতিক মন্তব্য। দিন কয়েক আগে সংসদে সুর চড়িয়েছিলেন আপ-সাংসদ। তিনি বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সাশ্রয়ী মূল্যের উড়ান যাত্রী ক্যাফে চালু করার। এই প্রজেক্টটি সরকারের তরফে করাই ছিল, কিন্তু তা চালু কোথায় কেন হয়নি তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি। বিমানবন্দরে জিনিসপত্র থেকে খাবার-পানীয়, হাত ঠেকালেই যেন ছ্যাঁকা খেতে হয়! রেলে টিকিটের সমস্যার মুখে না পড়ে, সময় বাঁচাতে বিমানে যাতায়াতকেই ভরসা করে থাকেন অনেকে। রেল স্টেশনে সাধ্যর মধ্যে খাবার-পানীয় মিললেও বিমানবন্দরে আগুনে সেই সব পণ্যের দাম। সবসময় লাউঞ্জ অ্যাক্সেস করে খাওয়ার সুযোগও সবার কাছে থাকে না।