এই মর্মেই মামলা করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। ২৯ নভেম্বর প্রথম শুনানি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে হলফনামা জমা করতে বলা হয়েছে। কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে মোট সাতটি এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং মেশিন। মেশিনগুলি রয়েছে রবীন্দ্র সরোবর এলাকা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, বালিগঞ্জ গুরুসদয় রোড, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকা, ময়দান এলাকা, বরানগর এবং সল্টলেক এলাকায়।
advertisement
বাতাসের গুণমান নিরীক্ষণের পাশাপশি রিয়েল টাইম ডাটা সাধারণ মানুষের জন্য ডিসপ্লে করা হয় এই জায়গাগুলোয়। যদিও এর মধ্যে বেশিরভাগ ডিসপ্লে বর্তমানে অফ করেই রাখা হয়। ফলতঃ বাতাসের গুণমান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হওয়া সত্ত্বেও টের পান না শহরবাসী। এছাড়াও শহরের অনেক অধিক দূষণের সম্ভাবনাময় এলাকায় আদৌ বসানোই নেই এই মনিটরিং মেশিন। ফলে সার্বিকভাবে শহর কলকাতার দূষণের তীব্রতা আদৌ স্পষ্টভাবে উঠে আসছে না।
আরও পড়ুন : ফুঁসছে মিগজাউম! এই শব্দের অর্থ কী? এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কলকাতা-সহ আর কোথায় বৃষ্টি হবে? জানুন পূর্বাভাস
দিল্লির মতো তীব্র দুষণযুক্ত শহরেও এই মনিটর হয়েছে ৩৫ টি। সেখানে মাত্র ৭ টি মেশিন আদতে কোনও সাহায্যই করছে না বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। একে রাজ্য পরিবেশ দফতরের সদিচ্ছার অভাব বলেই মনে করছেন তাঁরা। পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষের মতে, ‘‘বিষয়টি খুবই সহজ এবং জলের মত পরিষ্কার যে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের তরফে শহরের যে যে জায়গায় জনসংখ্যা এবং ট্র্যাফিকের ঘনত্ব সর্বোত্তম স্তরে পৌঁছেছে, সেখানে সাতটি বায়ু দূষণকারীর উপর AQI ডেটার সম্পূর্ণ এলাকাভিত্তিক ছবি রেকর্ড করতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (NAQI) ওয়েবসাইটে কেন শুধুমাত্র 7 CAAQMS-এর তালিকা রয়েছে? সংখ্যাটা কেন অন্যান্য মেগা শহরের মতো নয়!’’