সোমবার সকাল থেকেই দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা তৈরি ছিলেন বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে। দুর্গা পিতুরি লেনের ১৬ নম্বর বাড়ি ও ১৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দাদের সকাল ন'টা থেকে দশটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল মেট্রো প্রস্তুতকারক ভারপ্রাপ্ত সংস্থা কেএমআরসিএল-এর থেকে। সকাল এগারোটা থেকে বাড়ি ভাঙার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই সংস্থার তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ্যসচিবের নির্দেশ, রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রকল্পে এ বার নজরদারি চালাবেন সচিবরা
দুর্গা পিতুরি লেনের ১৬/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই বাড়িগুলিতে শুধু টাকা-পয়সা বা আসবাবপত্র নেই, এই বাড়িগুলিতে জড়িয়ে আছে অনেক দিনের স্মৃতি ও আবেগ। ১৬ ও ১৬/১ নম্বর বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারদের এখন আনাগোনা। সেখানে ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে রাখার সঙ্গে ফিতে দিতে মাপা হচ্ছে প্রতিনিয়ত । বাড়িগুলির বর্তমান পরিস্থিতি রেকর্ড রাখতেই ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়। ফিতে দিয়ে মাপার কারণ মূলত, বাড়ির বিপজ্জনক অংশ বুঝে নেওয়া ও কী পদ্ধতিতে ভাঙা হবে তা আলোচনা করা।
কারণ বর্তমানে দুর্গা পিতুরি লেনের একাধিক বাড়ির অবস্থা ভাল নেই, তুলনামূলক ভাবে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৬ ও ১৬/১ নম্বর দুটো বাড়ি। সেই দু'টি বাড়ি ভাঙার সময় যাতে অন্য বাড়ির ক্ষতি না হয় সেদিকেই নজর রাখার জন্য বাড়ির বিভিন্ন অংশ মাপা হয় সোমবার। এই দু'টি বাড়ি আংশিক ভেঙে দেওয়ার পরে বাড়ি বিপদমুক্ত হলে আর ভাঙার কাজ হবে না সূত্রের খবর৷
তবে বিপদমুক্ত না হলে দূর্গা পিতুরি লেনের ১৬ ও ১৬/১ বাড়ি পুরোপুরি ভাঙা হবে। এদিকে দুর্গা পিতুরি লেনের ১৫ নম্বর বাড়িটি আগেই কলকাতা পুরসভার তরফে বিপদজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, কলকাতা পুরসভার অনুমতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভে রিপোর্ট এলেই সিদ্ধান্ত হবে এটি ভাঙা হবে কিনা বাড়িটি।
২০১৯ সালে ২৩টি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয় বা ভেঙে যায়, এই বছর আরও ২ টি বাড়ি ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ভাঙা বাড়ির সংখ্যা হল ২৫টি।
বর্তমানে অবশ্য ১৬ নম্বর বাড়ি ভাঙার কাজ আটকে আইনি জটিলতায়। আর ১৫ নম্বর বাড়ি ভাঙতে অনুমতি চেয়েছে কেএমআরসিএল কলকাতা পুরসভার কাছে।