দখলদার হটাতে শনিবার পুলিশ ও পুরসভা যৌথ অভিযান করে। আদালতের নির্দেশে মানতেই রক্সি ভবনে এই অভিযান বলে পুরসভার সূত্রে দাবি। দোকানের শাটার নামিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তালা সিল করে দেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে।
সকাল থেকে দোকানপাট খোলা হচ্ছিল। বেলা ১১ টার পর কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী কলকাতা পুরসভার সামনে রক্সি সিনেমা ভবনের কাছে হাজির হয়। কলকাতা পুরসভার মার্কেট বিভাগের চিফ ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিভাগীয় আধিকারিক কর্মী ও বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী চলে আসে। একে একে সব দোকান বন্ধ করে শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়। তালা লাগিয়ে সিল করে দেওয়া হয় প্রতিটি দোকান।
advertisement
আরও পড়ুন : কৃষকের মরণোত্তর অঙ্গদানে ৪ জনের নতুন জীবন, ফের মানবিকতার নজির এসএসকেএম হাসপাতালে
সাত সকালেই দোকান সিল করে নোটিশ দেওয়া-য় কার্যত এ দিনের মতো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। দোকানদার ও কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
আরও পড়ুন : আজ কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ঘূর্ণিঝড় মান্দাস, এর প্রভাবে কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া, জানুন আপডেট
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ মামলার লড়াইয়ের পর কলকাতা পুরসভার দখলে আসে রক্সিভবন অর্থাৎ চারের এ ও চারের বি চৌরঙ্গী প্লেস এর বিল্ডিংটি। এরপর করোনার সময় দোকানবাজার এমনিতেই বন্ধ ছিল। ফের আদালতের নির্দেশ অনুসারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নোটিশ দেওয়া হয় দোকানদারদের সরে যেতে। সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে কলকাতা পৌরসভা সেই ভ্যাকেশন নোটিশ শ জারি করে। ৭ দিন সময় দিলেও ব্যবসায়ীরা কেউ নিজেদের জায়গা থেকে সরেনি। সেই ভাবেই কেটে গেছে কয়েক মাস।
কলকাতা পুলিশকে পুরসভার স্পেশাল কমিশনার চিঠি লেখেন। সেই অনুসারে শনিবার পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনীর সহায়তা নিয়ে দোকান বন্ধ করা হয়।
কলকাতা পুরসভার স্পেশাল কমিশনারের নির্দেশে সিদ্ধান্ত হয়, পুরসভার এই সম্পত্তিতে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করতে এবার অভিযানে নামবে পুরসভা। নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ কে চিঠি দিয়েছিলেন স্পেশাল কমিশনার। পাশাপাশি নিউমার্কেট থানা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এদিন প্রতি দোকানে শাটারের উপর যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে সিল কাটলে বা তালা ভাঙলে তার তাই নিতে হবে দোকান কর্তৃপক্ষকে। কোনও ভাবে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও কোন দোকানদার বা দোকানের কর্মী এবং নিউমার্কেটের অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।