ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে ওই ফলকে শাসক দলের প্রথম সারির একাধিক নেতানেত্রীর নাম ছিল। স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তির নীচে বসানো ওই ফলকে নাম ছিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক চক্রবর্তীর।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ অবশ্য দাবি করেন , 'ওই ফলক কলকাতা পুরসভা বসায়নি। পুরসভার অনুমতি নিয়ে ফলক বসানো হয়েছিল মাত্র। ফলকে নাম থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতানেত্রী ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।'
advertisement
এর পরেই কলকাতা পুরসভার একটি দল তালতলায় এলাকায় গিয়ে বিতর্কিত ফলক ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে তখন উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্দ্রাণীদেবী বলেন, 'অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত ছিলাম না। তাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকারও প্রশ্নই ওঠে না। ওয়ার্ডের অনেকে আমাকে পছন্দ করে না। এটা তাঁদেরই কাজ।'
৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরের অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ফলকে দেবাঞ্জন দেব সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে নাম ছিল স্থানীয় নেতা অশোক চক্রবর্তীর।
এই বিষয়ে অশোক চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে সরাসরি কোনও রকম যোগাযোগ আমার ছিল না। শান্তনু মান্না দেবাঞ্জন দেবকে পুজো কমিটিতে নিয়ে এসেছিলেন। আর শান্তনু মান্নার সঙ্গে ইন্দ্রাণীদেবীর ঘনিষ্ঠতা এলাকায় কে না জানে! ইন্দ্রাণী দেবী এখন নিজেকে আড়াল করতে বিষোদগার করছেন, মিথ্যা গল্প সাজাচ্ছেন।' সবমিলিয়ে দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে এখন শাসক শিবিরও কিছুটা অস্বস্তিতে৷
PARADIP GHOSH
