কলকাতা
শহরের বাজারে মরা মুরগি ও ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বিক্রি বন্ধে তৎপর কলকাতা পুরসভা। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার নিউমার্কেট, ধর্মতলা চত্বরের বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকানে চলে তল্লাশি অভিযান। হানা দেওয়া হয় সরবতের দোকানেও। কী মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে ? কোথা থেকে কেনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। মাংসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় নামী রেস্তোরাঁ থেকেও। ফুড লাইসেন্স রয়েছে কিনা, তাও দেখা হয় এদিনের অভিযানে।
advertisement
হাওড়া
হাওড়া ব্রিজের কাছেই নামী হোটেল। এদিন অভিযানের প্রথমেই সেখানে তল্লাশি চালান হাওড়া পুরসভার মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট। হোটেলের চারটি ফ্রিজ থেকে দীর্ঘ দিনের বাসি মাছ, মাংস উদ্ধার হয়। কোথা থেকে এগুলি কেনা হল তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। দু’দিনের মধ্যে সেই বিল পুরসভার কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ করা হয় হোটেলের কাঁচা মাংস ও রান্না করা মাংসের নমুনাও।
পুর আধিকারিকরা এদিন হানা দেন কোনা এক্সপ্রেসের কাছে ক্যারি রোডের বিভিন্ন রেস্তোরাঁতেও। একটি রেস্তোরাঁর ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় ছত্রাক ধরা মাংসও। সেই মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা হবে বলে দাবি মেয়র পারিষদের।
মরা মাংসের কারবার সামনে আসতেই বিক্রি কমেছে রেলের মাংসের পদের। যাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তৎপর পূর্ব রেলও। রেলে খাবার সরবরাহকারী ভেন্ডারদের পাঠানো মাংস পরীক্ষা হলেও তাতেই থেমে থাকতে চায় না রেল। এবার মাংসের প্রোটিন টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে রেল। এদিন হাওড়া স্টেশনের বিভিন্ন আউটলেটেও চলে তল্লাশি অভিযান। কাঁচা ও রান্না করা মাংসের নমুনা সংগ্রহ করেন রেলের ফুড সেফটি আধিকারিকরা। বরানগরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও কাঁচা মাংসের দোকানেও এদিন হানা দেন বরানগর পুরসভার আধিকারীকরা। সংগ্রহ করা হয় মাংসের নমুনা।