সম্প্রতি হরিদেবপুর কাণ্ডে একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বামপন্থী সংগঠন শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই বিক্ষোভের পরই পুরসভায় ৬২ জন শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এর মধ্যে আলো বিভাগে ৭ জন, সিভিল বিভাগে ৪২ জন এবং মেকানিক্যাল বিভাগে ১৩ জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে।
advertisement
গত রবিবার ২৬ জুন সন্ধেয় হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইশাক রোডে জমা জলে আলোর পোস্ট স্পর্শ করতেই তড়িদাহত হয় নীতীশ যাদব৷ হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় ২৯ জুন হরিদেবপুর কাণ্ডে রিপোর্ট জমা পড়ে। থার্ড পার্টি-কে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেইমতো বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিশেষ কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা পুরসভায়। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। হরিদেবপুর কাণ্ড নিয়ে চলছে পুলিশের তদন্তও।
কলকাতা পুরসভার বিশেষ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চূড়ান্ত গাফিলতির ইঙ্গিত মেলে। পুরসভার কর্মীদের গাফিলতির স্পষ্ট ইঙ্গিত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে গঠিত হয় বিশেষ তদন্ত কমিটি। কমিটিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে কমিটি ২দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়। পুরসভা সূত্রের খবর, তিনটি বিষয়ে বিশেষ উল্লেখ রিপোর্টে। সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত পোস্টে যে আলোর সংযোগ রয়েছে, সেখানে কোনওরকম আর্থিং-এর কাজ করা হয়নি ৷ পোস্টের তারগুলি সঠিকভাবে জোড়া ছিল না ৷ ওয়েল্ডিং-ও নিয়মমেনে করা হয়নি ৷ নিয়মিত নজরদারির স্পষ্ট অভাব। ওই আলো লাগানোর পর কয়েক মাস পার হলেও কোনও পরিদর্শন করা হয়নি।
BISWAJIT SAHA