আবার ভিন্ন ছবিটাও আছে। লেক মার্কেট, হাতিবাগান, বেহালা বাজারের অনেক বাজারেই কিন্তু কাপড়ের ব্যাগ, মোটা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বেড়েছে। দাম কিছুটা বেশি পড়লেও প্রশাসনের নিয়ম মেনেই ব্যবসা চালাচ্ছেন অনেকে। তবে এর পাশাপাশি সেই তুলনায় উল্টো ছবিটাই বেশি বাজারে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - Rishabh Pant Viral Video: বিরাট কোহলি এখন কোণঠাসা, নতুন হিরো ঋষভ পন্থকে নিয়ে গান বাঁধলেন ফ্যানরা
advertisement
পুরভবনের ঢিল ছোড়া দূরত্বেই অসচেতনতার ছবি স্পষ্ট। নিউমার্কেটেই রমরমিয়ে চলছে সিঙ্গেল ইউজ পলিথিন ব্যাগ। খাতায় কলমে পাতলা প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হলেও কলকাতার বাজারগুলিতে চলছে বহাল তবিয়তে।
একদিকে বাতাসে ধূলিকণায় দূষণ অন্য দিকে প্লাস্টিকে বর্জ্য থেকে দূষণের চিন্তা। ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে কেন্দ্রীয় ভবনের ঢিল ছোড়া দূরত্বেও সচেতনতার বিন্দুমাত্র ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিধান মার্কেট বা গ্র্যান্ড হোটেলের নিচে কিংবা নিউমার্কেট সব জায়গায় রমরমিয়ে ব্যাবহার হচ্ছে ৭৫ মাইক্রনের নিচে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ফিরহাদ বলেন, এখনই পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলিনি। আগে সচেতন হোক মানুষ। আধুনিক বিশ্ব প্লাস্টিক ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। তবে নিষিদ্ধ মানে ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে। সচেতন না হলে তারপর ফাইন চালু করতে বাধ্য হবো আমরা।
বাজারে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার ভিন্ন মত। বিক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, প্লাস্টিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে তাই আমিও কিনছি ব্যবহার করছি। সরকার ব্যবহার করতে মানা করছে কিন্তু বাজারে কেনা বেচা চলছে। তাহলে আপনি বন্ধ করতে বলছেন কেন?
পাল্টা প্রশ্ন প্লাস্টিক ব্যবহারকারীর। অনেকের আবার নানান অজুহাত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে। একাধিক ক্রেতার অজুহাত এই যে পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ আর ব্যবহার করা যাবে না জানি কিন্তু কাজে এসেছিলাম, তাই ব্যাগ নিয়ে আসতে পারিনি। একটু সব্জি ফলটুকু নিয়ে যাচ্ছি।
মানিকতলা বাজারের এক বিক্রেতা আবার প্লাস্টিক ব্যবহারের অর্থনীতি বুঝিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, ‘‘কাপড়ের ব্যাগের দাম ২৫০ টাকা কেজি। এই দামটা তো আর ক্রেতাদের থেকে নিতে পারব না। তাই নিজের টাকা দিয়েই এই ব্যাগ কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায় এই লসটা কে পুষিয়ে দেবে? পুরসভা না পুলিশ।’’
BISWAJIT SAHA