আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি নেই। কমিশন দায়িত্বশীল হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবে। রাজ্য প্রশাসন যথাযথ ভাবে কমিশনকে সাহায্য করবে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের উপরই দায়ভার বর্তাবে। এছাড়া নির্বাচনের পর কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। ২৩ ডিসেম্বর হবে পরবর্তী শুনানি।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার পথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কিন্তু ভোটে নয়? রাতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে BJP
কলকাতায় পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের দাবি তোলে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। পুর নির্বাচন পরিচালনার জন্য রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রাখা হয়েছে। এরপরই অবশ্য হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে বিজেপি। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিজেপি-র আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ''ভোট পরবর্তী অশান্তি রেশ এখনও চলছে। ১৪২ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা যদি শাসক দলে৷ হুমকির মুখে পরে তাহলে ভোটারদের অরস্থা ভাবুন।'' যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের উপরেই গোটা ভোট পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না কলকাতা পুরভোটে।
আরও পড়ুন: বড়দিনে বড় লক্ষ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওয়া বুঝেই ফের গোয়ায় পা!
বিজেপি-র আইনজীবী এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্য ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আশ্বাস দিয়েছিল নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী ঘটনা ঘটেছিল, আমরা সবাই জানি। রাজ্যের আশ্বাসে তাই বিজেপির কোনও আস্থা নেই। প্রতিদিন হাইকোর্টে মামলা হচ্ছে পুলিশ নিষ্ক্রিয়, কোথাও পুলিশের অতিসক্রিয়তাও দেখা যাচ্ছে। কোথাও রাজনৈতিক কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না আদালতের নির্দেশের পরও।
কলকাতার পুরভোটে বাহিনী নিয়ে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শুক্রবারের শুনানিতে তিরস্কার করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, 'বিগত ভোটের পরিস্থিতি দেখে ভোটাররা ভোট দিতে এগিয়ে না এলে তার জন্য কী ব্যবস্থা করেছেন আপনারা?' কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রচুর সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু কমিশনের এই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত।