আজ সকালে অরূপ বাঁশদ্রোণী থানায় গিয়েছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান, যে কোনো মুহুর্তে আক্রান্ত হতে পারেন। তাঁর বাড়ির আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি। তাঁর সন্দেহ তাঁরা তাঁকে খুন করতে পারে। সমস্ত কিছু শোনার পর, থানার ডিউটি অফিসার ,কোনো অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন অরূপ। এর পেছনে যে অনেক বড় চক্র কাজ করে তা অরূপ জানেন। এটা যেন মৌচাকে ঢিল মারার মতো ঘটনা ঘটেছে। বিগত দিনে কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন দু একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কিডনি পাচারের এবং দালাল চক্রের একটা অভিযোগ উঠেছিল। সেই হাসপাতাল গুলোর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য দপ্তর তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছিল। এমনকি একটি হাসপাতালের কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ রাখতে বলেছিল সরকার।
advertisement
হঠাৎ করে এই কিডনি পাচার চক্রের দালালরা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শহরের নামী সংবাদ পত্রে আবার বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয়েছে, 'কিডনি চাই' বলে। সেই বিজ্ঞাপন পেয়ে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা যোগাযোগ করছে কিডনি বিক্রির জন্য। কিডনি নেওয়ার সময় দালাল চক্র একেবারে বৈধ কাগজ পত্র বানিয়ে হাসপাতালের শয্যাতে শুইয়ে, কিডনি প্রতিস্থাপন করায়। যার ফলে ধরা পড়লেও আইনের মার প্যাঁচে বেরিয়ে যায় ওরা। এখন অরূপ বলছেন, তিনি যে কোনও মুহূর্তে খুন হতে পারেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে শত্রু বানিয়েছেন। সেটাতেই বেশ ভয়ে রয়েছেন তিনি।