অনেকেই অবশ্য বলছেন, তাহলে কি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। খিদিরপুর ডক। শহর কলকাতার বন্দর অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই ডকের নাম। মোট ২১টি বার্থ আছে এই ডকের। খিদিরপুর ডকের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়েছে বাস্কেল ব্রিজ ৷ তবে এই ডকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বাস্কেল ব্রিজ ও সুইং ব্রিজ এই দুটো ঐতিহাসিক ব্রিজ রয়েছে এখানে। হলদিয়া বন্দর বা কলকাতার নেতাজী সুভাষ ডকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে গুরুত্ব কমতে শুরু করেছিল খিদিরপুর ডকের।
advertisement
অবশেষে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে, পিপিপি মডেলে শুরু হল এই ডক আধুনিকীকরণের কাজ। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, ‘‘দুটি দফায় এই ডক আধুনিকীকরণের কাজ হবে। দীর্ঘ ৩০ বছর পরে হবে এই কাজ৷ এই কাজের জন্যে প্রথম দফায় খরচ হবে ৯৫ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় দফায় খরচ হবে ৮৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। মোট ছটি সংস্থা টেন্ডারের আবেদনে সাড়া মিলেছিল। তার মধ্যে একটি সংস্থা বাছাই হয়েছে। তারাই কাজ শুরু করেছে।’’
আরও পড়ুন-বাড়ল তাপমাত্রা, আজ বৃষ্টি বাড়বে রাজ্য জুড়ে, আগামী ক’দিন আবহাওয়ার কী পূর্বাভাস?
খিদিরপুর ডকের মধ্যে রয়েছে একাধিক গুডস শেড। পুরনো সেই শেড ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পরে ধাপে ধাপে ইয়ার্ড মানোন্নয়ন করা হবে। পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্যে আধুনিক ক্রেন বসবে। সারিয়ে তোলা হবে যাবতীয় পরিকাঠামো। একই সঙ্গে নাব্যতা বৃদ্ধি করাও হবে। সূত্রের খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে এই কাজ শেষ করা হবে।।