তিনি আরও বলেন, "গত ১২ বছরে এই সরকারের আমলে আমরা ৮৫ হাজার মিথ্যে মামলা মোকাবিলা করছি। এখনও সেই মামলায় হাজার হাজার আমাদের কর্মীদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়। যত বেশি তাঁরা জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে, তত বেশি করে গুন্ডা বদমাইশ এবং পুলিশকে দিয়ে এই ভূমিকা পালন করা হচ্ছে সরকারের তরফে। কৌস্তভ আমাদের দলের সদস্য নয়, উনি কংগ্রেসের। কিন্তু সাধারণ মানুষের হয়ে তিনি কথা বলার জন্য আজ তাঁকেও গ্রেফতার হতে হল। দিনের পর দিন গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ করে রাখা হচ্ছে।"
advertisement
তিনি আরও বলেন, "এই জিনিস দিনের পর দিন চলতে পারে না। শুধু জামিন পাওয়াই নয়, মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। যে পুলিশ অফিসার এই মিথ্যে মামলা দিয়ে কৌস্তভকে গ্রেফতার করেছেন তাঁকে আইনের পথেই শাস্তি দিতে হবে। নওশাদের পাশাপাশি কৌস্তভকেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আইনেই রয়েছে, মিথ্যে মামলায় জড়ালে একটা দিনও হোক, বা যে কটা দিন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তার জীবন জীবিকার মূল্যবান সময় থেকে তার ক্ষতিপূরণের বিষয়টি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেভাবে নওশাদ এবং কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হল, তাতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের মাইনে থেকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে কোনও পুলিশ অফিসার মিথ্যে মামলা দেওয়ার সাহস পাবে না।"
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ আর কৌস্তভের গ্রেফতার ও জামিন প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। এদিকে কংগ্রেস মুখপাত্র তথা অইনজীবী কৌস্তভ জামিন পেলেও তাঁকে নিয়ে অবস্থানে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন, পরীক্ষা নিয়ে মুশকিল আসান, উচ্চ মাধ্যমিকের সব কাজ অনলাইনে! বড় সিদ্ধান্ত সংসদের
আরও পড়ুন, পাশের দাবিতে আন্দোলন করেও লাভ হয়নি, আত্মহত্যা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর!
রাজ্যের শাসক শিবিরের কথায়, "কৌস্তভ বাগচীর মন্তব্যে প্রত্যেকে মর্মাহত। ওনার মন্তব্য লজ্জাজনক। গোটা ঘটনায় আমরা ভীষণ ভাবে লজ্জিত৷ মহিলাদের ক্ষমতায়ণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি মহিলাদের জন্য এত কাজ করলেন, তাকে কি কথা শুনতে হল। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে, তিনি যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তা যথাযথ নয়। ভাল কথা বলার স্বাধীনতা আছে৷ তা বলে কুকথা বলার স্বাধীনতা নেই।"
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ি