গতকাল কসবার একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় আদর্শ লোসালালকা নামে এক যুবকের দেহ৷ পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আদর্শকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ তাঁর দুটি পা তোয়ালে দিয়ে বাঁধা ছিল৷
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই হোটেলে ওঠেন আদর্শ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক যুবক এবং তরুণী৷ একটি অ্যাপের মাধ্যমে হোটেলের দুটি ঘর বুক করা হয়েছিল৷ যদিও শুক্রবারই রাত আড়াইটে নাগাদ ওই হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান আদর্শের সঙ্গী ওই পুরুষ এবং মহিলা৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত আড়াইটা নাগাদ দুজন হোটেল থেকে বেরিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছেন কসবা মেইন রোডের দিকে৷
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ধ্রুব মিত্র একটি অনলাইন ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করেন৷ ধৃত তরুণী কামাল সাহা পেশায় কনটেন্ট রাইটার৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শুক্রবারই ধ্রুব এবং কামালের সঙ্গে পরিচয় হয় আদর্শ লোসালালকার৷ এর পর সেদিন রাতেই কসবার হোটেলে পৌঁছন তাঁরা৷
হোটেলে পৌঁছনোর পর সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে আদর্শের সঙ্গে ধ্রুব মিত্র ও কামাল সাহার বচসা হয়৷ যা ধস্তাধস্তি গড়ায়৷ তখনই মাথায় আঘাত লেগে মেঝেতে পড়ে যান আদর্শ৷ এর পর তাঁর পা বেঁধে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান ধ্রুব এবং কামাল৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা দাবি করেছে, আদর্শ লোসালালকা নামে ওই যুবক যাতে উঠে তাঁদের উপরে প্রত্যাঘাত করতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর পা বেঁধে দেওয়া হয়৷ যদিও কী কারণে দু পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হল, কেন তা হাতাহাতিতে গড়াল, ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷
পুলিশ জানিয়েছে, বছর কুড়ির ধৃত ধ্রুব মিত্র নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্পের বাসিন্দা৷ কামাল সাহা নামে ওই কুড়ি বছরের তরুণী উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যারাকপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা৷ দু জনেই একসঙ্গে দমদমের সিঁথি এলাকায় থাকতেন৷
বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা আদর্শ প্রায় পাঁচ বছর কলকাতায় একাই থাকতেন৷ বাঙুর এলাকায় থাকতেন তিনি৷ মৃত্যুর আগে ওই যুবকের নাক থেকে রক্তক্ষরণও হয়৷ তাঁর মাথাতেও আঘাতের চিহ্নও ছিল৷ ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে৷
