তবে, ভুয়ো IAS (Fake IAS Debanjan Deb Arrested) দেবাঞ্জনের বয়ানে এখনও সন্তুষ্ট নন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশের দাবি, ধৃতের কথায় এখনও অসঙ্গতি রয়েছে। বারবার তাকে ভ্যাকসিন ক্যাম্প নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও, রাতভর সে জানিয়েছে মানুষের সেবা করতেই ভ্যাকসিন দিতাম। এ দিকে, ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত টিকার ভায়াল পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও টিকা পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা দেবাঞ্জনের কাছে জানতে চান, আর কোথায় ভ্যাকসিন ক্যাম্প করেছিল দেবাঞ্জন?কেন ভ্যাকসিন ক্যাম্প করত দেবাঞ্জন দেব? ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার টাকা কোথা থেকে আসত? ক্যাম্প করার অনুমোদনই বা কীভাবে পেত সে? ভুয়ো IAS পরিচয়ে আর কী কী অপকর্মে নিজেকে যুক্ত করেছিল দেবাঞ্জন? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত কিনা জানতে তা দেবাম্নজনের থেকে জানতে চায় পুলিশ। তব্বে উত্তর মেলেনি। ফলে ধৃত দেবাঞ্জনকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
advertisement
এ দিকে, বুধবার দেবাঞ্জনের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর সিটি কলেজের তরফের যোগাযোগ করা হয় পুলিশের সঙ্গে। কলেজ অধ্যক্ষ যোগাযোগ করে জানান, সিটি কলেজেও এই ধরনের একটি ঘটনা হয়েছে পুলিশ তদন্ত করুন। সেই মোতাবেক বুধবারই আর্মহারস্ট্রীট থানার ওসি প্রিন্সিপালের কাছ থেকে যাবতীয় অথ্য নিতে যান। তখনই চোখ কপালে ওঠে। কলেজ ইউনিয়ানের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় এই ভুয়ো অফিসারের সঙ্গে প্রিন্সিপালের। এই ভুয়ো আইএস জানায়, তারা ভ্যাক্সিনেশন দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তার স্বপক্ষে বিভিন্ন নথিও দেখায়। কলেজের প্রিন্সিপালের দাবি কর্পোরেশনের ব্যবহার করা নোটপ্যাডে তিনি যাবতীয় তথ্য দেন। ভ্যাক্সিনেশন যদিও ওই অফিসার আট থেকে দশজনকে নিয়ে গিয়ে কলেজ পরিদর্শন করা। তাদেরকে কর্পোরেশনের অফিসার বলে পরিচয় দেয় এই ভুয়ো আইএস অফিসার। তার পর ১৮ জুন টিকাকরণ প্রোগ্রাম হয় কলেজে। কিন্তু এসএমএস না আসায় সন্দেহ হয় কলেজের অধ্যাপকদেরও। তারপর গতকাল এই খবর দেখার পর কলেজের তরফেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
অন্যদিকে, কসবায় দেবাঞ্জনের অফিসের সমস্ত কর্মীদের সন্ধান করছে পুলিশ। বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন কাজ ছিল, প্রত্যেকের নাম ও কাজের বিবরণ জানতে চাইছে পুলিশ। আজ ও হবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে দেবাঞ্জন দেবকে।