কলকাতা: কসবা কাণ্ডের জনস্বার্থ মামলায় নয়া মোড়। হাইকোর্টে মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায় নির্যাতিতার পরিবার। হাইকোর্টে আইনজীবী নিযুক্ত করলেন নির্যাতিতার বাবা। ‘কসবা কাণ্ডে CBI তদন্ত চায় না পরিবার। আইনজীবীকে মতামত জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। খবর হাইকোর্ট সূত্রে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।
advertisement
এদিকে, কসবা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের আইনজীবী এনরোলমেন্ট বাতিল নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠক ডাকল রাজ্য বার কাউন্সিল। বিকেল ৪ টের সময় হবে এই বৈঠক। হঠাৎ কাউন্সিল বৈঠক ডাকায় উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিরা সম্ভবত যোগ দিতে পারছেন না এই বৈঠকে। ইতিমধ্যে চারজন কাউন্সিল সদস্য প্রয়াত হয়েছেন। কাউন্সিলের বৈঠক করতে নূন্যতম কোরাম মেনে আট জন উপস্থিত থাকতে হয়। বিকেল চারটের এই বৈঠকে আইনজীবী মনোজিৎ মিশ্র নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ খবর। এদিকে, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের Women’s Grievance Cell এই ঘটনায় তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, যে সিট গঠন হয়েছিল, সেই ৯ সদস্যকেও আপাতত তদন্তে রাখা হয়েছে।
কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার পরের দিন সকালে কলেজের নয়না চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ৷ তদন্তকারীরা তিন অভিযুক্তেরই মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস রেকর্ড (সিডিআর) ক্রস চেক করছে৷ এই বিষয়ে বার্তাসংস্থা পিটিআই-কে এক তদন্তকারী নাকি বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পেয়েছি ঘটনার পরদিন সকালে মনোজিতের নম্বর থেকে কলেজের ভিপিকে ফোন করা হয়।’’ পাশাপাশি, পুলিশ একটি ওষুধের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছে। সেখানে অভিযুক্ত জাইব আহমেদকে দেখা গিয়েছে। সে সেখানে ইনহেলার কিনতে গিয়েছিল। এবার জাইব ও মনোজিতের গতিবিধির আরেক তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের৷
গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর শিশু রায় উদ্যানের সামনে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এক জনকে এবং ৭টা ৩৫ মিনিটে জাইব ও প্রমিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎকে।
এবার জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির সন্ধ্যায় ফার্ণ রোডে কোনও একজনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন মনোজিৎ ও জইব? কে সেই ব্যক্তি? জানতে মরিয়া বিশেষ তদন্তকারী দল সিট-এর তদন্তকারীরা৷ বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোডে মনোজিৎ ও জইব সেদিন একসঙ্গেই ছিল৷ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে টিএল ফার্ন রোডের কাছে মনোজিৎ ও জইবের গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ কার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন দু’জন? তিন অভিযুক্তকে একসাথে বসিয়েই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে জেরা করতে চাইছেন সিটের সদস্যরা৷