সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সংসদীয় দলের মধ্যে সংঘাত চরমে ওঠে। আর এই ইস্যুতে নাম না করে এক মহিলা সাংসদকেও তীব্র আক্রমণ শানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা বলতে গিয়ে দমদমের তৃণমূল সাংসদকে চোর বলে বেলাগাম আক্রমণ করেন কল্যাণ।
আরও পড়ুন: চকচকে হয়ে যাবে মুখ…! গরমে ঘুমানোর আগে এই ‘জিনিস’ দিয়ে করুন ‘কাজ’, ১ রাতেই দেখুন তফাৎ
advertisement
“নারদার চোর। ওর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। চরিত্র খারাপ। এর কথা ওকে লাগায়। ২০০১ সাল থেকে আমাকে সহ্য করতে পারে না।” বলে নাম না করে সৌগত রায়কে তোপ দাগলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ওরা প্রিয় দার লোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাজে কথা বললে ওঁদের গায়ে লাগে না। প্রিয় দার নামে বললে ওদের গায়ে লাগে।”
পাল্টা সৌগত রায় বলেন, “আমি সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অংশগ্রহণ করিনি। আমি সেদিন দেখিনি কল্যাণের সঙ্গে মহুয়ার কী হয়েছিল। আমাকে বিজয় চকে থাকতে বলা হয়েছিল। আমি সেখানে শুনলাম এক মহিলা সাংসদের সঙ্গে কল্যাণের দারুণ ঝগড়া হয়। কল্যাণ নাকি মারতে উদ্যত হয়েছিল। মহিলা সাংসদকে পুলিশে যেতে হয়েছিল। আমাদের ও অন্যদলের সাংসদরা কল্যাণের ব্যবহারের নিন্দা করেন। আমাদের দলের অনেকে বলেন মমতা-অভিষেককে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। তবে আমার এখানে ভূমিকা ছিল না। আমি মনে করি না দলের কথার বাইরে বলা উচিত। আমি মনে করি এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। কল্যাণ ওয়াকফের জেপিসি’তে বোতল ছোঁড়া, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে লেডি কিলার বলে ক্ষমা চাইল, সেটাও আমি বলিনি। আমি মনে করি ডিগনিটি রাখা উচিত।”