এ দিকে দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নিয়েছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার পরই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ৷ চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে সেই পোস্টে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ৷’ ওই পোস্টে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিজের দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকেও ট্যাগ করেছেন কল্যাণ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, গতকালই তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দলের সাংসদদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ৷ তিনি দাবি করেন, দলের লোকসভার সাংসদদের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না বলে বৈঠকে অভিযোগ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে তাঁর ভূমিকার দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে বলে দাবি করে মুখ্য সচেতকের পদ ছাড়েন কল্যাণ৷ শুধু তাই নয়, মহুয়া মৈত্র তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেও দল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কল্যাণ৷
যদিও ইস্তফার পর পরই কল্যাণ জানিয়েছিলেন, লোকসভায় দলের নতুন দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে৷ অভিষেক ৭ অগাস্ট দিল্লিতে এসে তাঁর ক্ষোভের কথা শুনবেন বলেও দাবি করেছিলেন কল্যাণ৷ তার পরেও কল্যাণের মানভঞ্জনের পথে না হেঁটে যেভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র তৃণমূলনেত্রী গ্রহণ করে নিলেন, তাতে দলের অন্দরে কল্যাণের উপরেই চাপ বাড়ল৷