কলকাতা: মঙ্গলবার সকালে কলকাতা শহর, শহরতলি যেন যুদ্ধ ক্লান্ত। আইনের তোয়াক্কা না করে প্রায় সারারাত বাজি পুড়িয়ে সবাই রণক্লান্তও বটে। কালীপুজোর পরের দিন, মঙ্গলবার শহর থেকে গ্রাম, রাস্তার সর্বত্র পড়ে বাজির পোড়া খোল।
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন, উত্তর দমদম, ভিক্টোরিয়া, বেলুর মঠ, হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন, পদ্মপুকুর এলাকার বাতাসে দূষণের সূচক ছিল যথাক্রমে ২৯৩, ২৩৫, ২২১, ২০৫, ২২৭, ২০২। তবে এ তো সরকারি হিসেব। বেসরকারি তথ্য বলছে অন্য কথা। এদিন সকালে রিষড়া, বারাকপুর এলাকার দূষণ সূচক ছিল ২০০ ছুঁইছুঁই। আর কালীপুজোর মধ্য রাতে কোন্নগর ও সোদপুরের সূচক ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত বাতাসে দূষণের সূচক ১০০ পেরলেই তা অস্বস্তিজনক হিসেবে ধরা হয়।
advertisement
এদিকে, দীপাবলির পর দ্বিতীয় দিনও দিল্লির বাতাসের মান খারাপই। ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া দিল্লি এনসিআর। সার্বিক ভাবে দিল্লির একিউআই ৩৪৫। যা অতি খারাপ। দিল্লির একাধিক এলাকার অবস্থা গুরুতর।
সিপিসিবি (CPCB)-এর তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টা পর্যন্ত দিল্লির বাওয়ানা এলাকার AQI – ৪২৩, জাহাঙ্গীরপুরিতে ৪০৭ এবং ওয়াজিরপুরে ৪০৮, যা ‘গুরুতর’ (Severe) শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত সবচেয়ে দূষিত অঞ্চলগুলির মধ্যে পড়ে। আনন্দ বিহারে AQI ছিল ৩৫৮, অশোক বিহার ৩৮৯, বুরারি ক্রসিং ৩৯৯, চাঁদনী চক ৩৫০, আইজিআই বিমানবন্দর (টার্মিনাল ৩) ৩০২, আইটিও ৩৪২, লোধি রোড ৩২২, মুন্ডকা ৩৬৬, নাজাফগড় ৩৩৬, নরেলা ৩৫৮, পাটপড়গঞ্জ ৩৪২ এবং পাঞ্জাবি বাগে ৩৭৬ AQI রেকর্ড করা হয়েছে।
শহরের ৪০টি ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার গড় বায়ু মান সূচক (AQI) বর্তমানে ১৬৫। যাদবপুর ২০০, ফোর্ট উইলিয়াম ১৫০, বালিগঞ্জ ১৪৯, রবীন্দ্র সরোবর ১২৮। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের তুলনায় কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় AQI পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা চার ভাগের এক ভাগ মাত্র— অর্থাৎ দিল্লিতে যেখানে প্রায় ১৬০টি কেন্দ্র আছে, সেখানে কলকাতায় মাত্র ৪০টি।
দিওয়ালির রাতের পরে কলকাতার বায়ুদূষণের পরিমাণ। বরাহনগর ৯৭ AQI, বিধাননগর ১০৮ AQI, ময়দান চত্বর ১৪৪ AQI, বালিগঞ্জ ১৪১ AQI, ভিক্টোরিয়া ২০২ AQI, কালীঘাট ১২০ AQI, যাদবপুর ১৮৯ AQI