জানা যায়, তপস্বী কালীবর এক হোগলা বনের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন এক কালীমূর্তিকে৷ সেখানেই শুরু করেন দেবীর উপাসনা। ভক্তের পুজোয় তুষ্ট হন দেবী। মূর্তি স্থাপনের পরে কিছুদিন কালীবরের হাতে দেবী পুজো পেলেও পরে পুজোর ভার নিজের হাতে তুলে নেন এক সন্ন্যাসী কাপালিক। তিনিই গোলপাতার ছাউনি দেওয়া মন্দিরে দেবীর নিত্য আরাধনা করতে থাকেন। গঙ্গা নদী ও জঙ্গলে ঘেরা মন্দিরে এরপর পুজো শুরু করে ডাকাতরা। মায়ের আরাধনায় এক সময় নরবলিও দেওয়া হত বলে শোনা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কালীপুজো-ভাইফোঁটায় বৃষ্টি? সাগরে নিম্নচাপের কালো মেঘ, ভাসবে কোন কোন জেলা?
শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে গিরিশ ঘোষ। একসময় সকলেই নিয়মিত আসতেন উত্তর কলকাতার এই কালী মন্দিরে। আজ যে মন্দির সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির নামে খ্যাত।
কালীপুজোর দীপান্বিতা অমাবস্যায় নিষ্ঠাভরে পুজো হয় এই কালীবাড়িতেও৷ নতুন রুপে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে এই কালীমন্দির৷ ঢল নামে ভক্তদের৷
আরও পড়ুন: সিঁদুর-হলুদ দিয়ে করুন তুলসীর এই প্রতিকার! অভাব ছুঁতে পারবে না, ভরে উঠবে সংসার
নিকট অতীতে চক্রবর্তী পরিবারের হাতে এই পুজোর দায়িত্বভার থাকলেও এখন পুজো সামলান বলাগড়ের মুখোপাধ্যায় পরিবার। বাগবাজারের এই কালীর পুজোয় কারণবারি নিবেদন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার। শুধু পুজোয় নয়, পুরোহিত পুজোয় বসার আগেও নাকি চানাচুরের সঙ্গে কারণবারি পান করেন৷ আজও।