দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে সারা ভারত কীর্তন, বাউল, ভক্তিগীতি শিল্পী সংসদের মঞ্চে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মুখে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’ ৷ কীর্তন গেয়ে মাতালেন মঞ্চ ৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাকে বারুইপুরে এভাবেই পাওয়া গেল। হরিধ্বনি দেওয়ার মাঝেই বার্তা দিলেন, ‘ষাট বছর পরে কীর্তন শিল্পীরা গাইতে পারেন না। তখন আয় হয় না, সংসারের বোঝা হয়ে ওঠেন । কীর্তন শিল্পীদের পেনশনের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার। এখন ১২০০ শিল্পী পাবেন। ক্ষমতায় আসার পর সবাইকে দেওয়া হবে।’
advertisement
ষাট পেরোলে পেনশন। কিন্তু তার আগে? মঞ্চ এবং মঞ্চের সামনে যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের মনের কথা বুঝেই নেতা অভিযোগের আঙুল তুললেন মমতা সরকারের দিকে ৷ বললেন, ‘রাজ্য সরকার চায় না। তাই কেন্দ্রের টাকা পায় না কৃষক।’ কিন্তু এই অভিযোগের পাল্টা তৃণমূল বলছে, যিনি এ সব কথা বলছেন, তিনি তো এ রাজ্যেরই কেউ নন।
পিছিয়ে পড়া মানুষদের ছুঁতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে কৈলাস টেনে আনলেন চৈতন্য প্রসঙ্গ। বলেন, ''কৃষ্ণভক্তি ও রামভক্তির ভূমি বাংলা। চৈতন্য মহাপ্রভুর পরম্পরা এখানে প্রবাহমান। চৈতন্য মহাপ্রভু না থাকলে গোটা বাংলা বাংলাদেশ হয়ে যেত। ''
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৃষকদের কথা, শিল্পীদের পেনশনের কথা বললেন। মঞ্চের সামনে বসে শুনলেন গোসাবা, ক্যানিং, সুন্দরবনের মানুষ। শুধুই কি দক্ষিণ ২৪ পরগণা? উত্তর ২৪ পরগ্ণার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। বার্তা পৌঁছল নদিয়ার তফশিলি মানুষের কাছেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এও এক রকম দলিত তাস। আসলে কৈলাস বার্তা দিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দলিতদের। টার্গেট খুব স্পষ্ট। রাজ্যের ২৭ শতাংশ দলিত ভোট।