সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন ৭ সাংসদ ও ৫ বিধায়ক-নেতা বিজেপি ছেড়ে আসবেন তৃণমূলে। তাঁদের আসা সময়ের অপেক্ষা। মে মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যেই এই দলবদল পর্ব ঘটবে বলে জোর গলায় দাবি করেছেন খাদ্য়মন্ত্রী৷ কয়েকদিন আগেও অবশ্য একই দাবি করেছিলেন তিনি৷
পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ অর্জূন সিং। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের একাধিক সাংসদ বিজেপিতে আসবেন বলে অপেক্ষা করা আছেন। তাদের সঙ্গে দিল্লিতে কথা বলে সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন দল ছাড়লেই তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। তাই ভোট ঘোষণা হয়ে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হলেই তারা সব এক এক করে বিজেপিতে যোগদান করবেন। অর্জুনের আরও দাবি, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক যে সময়ের কথা বলছেন তখন রাজ্য়ে তৃণমূলের সরকারই ক্ষমতায় থাকবে না৷ ফলে 'ঘর ওয়াপসি' না 'গৃহত্যাগ' তা ঘিরে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি।
advertisement
এর আগেও তৃণমূলের একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদের দল ছাড়ার দাবি করে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় অমিত শাহের সভায় যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। পরবর্তী সময়ে রাজীব বন্দোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কিছু তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী দলত্যাগ করেন। তবে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারাও। ফলে পুরোন দলে তৃণমূল নেতারা ফিরে আসতে চলেছেন এমন দাবি করে বিজেপি-র উপরে পালটা চাপ তৈরি করল শাসক দল। গেরুয়া শিবিরকে তারাও বুঝিয়ে দিতে চাইল, দল ভাঙানোর খেলায় নেমে লাভ নেই। সুবিধা হবে না।
দ্বিতীয়ত, তৃণমূল এটাও বোঝানোর চেষ্টা করছে যে নেতারা বিজেপিতে যাচ্ছেন তাঁরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই তারা ফেরত আসতে চাইছেন। এর ফলে দলের যে নেতারা বিজেপি-র দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরাও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন৷ তবে কিছুদিন আগেও খোদ তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন, যারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁদের আর ফেরত নেওয়া হবে না। এই অবস্থায় শাসক দলের বদলের বর্তমান অবস্থান ঘিরে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি।
Abir Ghosal