হাসপাতাল সূত্রে খবর হৃদযন্ত্রে সমস্যা এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের কারণেই মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে রক্ত প্রবাহের গতি নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
এ দিন জেলেই অসুস্থ বোধ করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বের করে ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বনমন্ত্রীকে৷ সেখানেই কার্ডিও ইমারজেন্সি বিভাগে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা৷ তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হবে কি না, হাসপাতালের চিকিৎসকরাই সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: নাম বলতেই পর পর গুলি! ভাটপাড়ায় বাড়ির সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী
ইডি হেফাজত শেষে বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরের পর থেকেই জেল কর্তৃপক্ষকে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথার মতো সমস্যার কথা জানান বনমন্ত্রী৷ দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে জেল হাসপাতালের চিকিৎসক এসে বনমন্ত্রীকে পরীক্ষা করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন৷ এর পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় মন্ত্রীর হৃদস্পন্দনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল৷ ইসিজি-তেও সামান্য সমস্যা দেখা দেয়৷ আরও নিশ্চিত হতে মন্ত্রীর ইকো কার্ডিওগ্রাফি করা হয়৷ এর পরেই মন্ত্রীকে কার্ডিওলজি বিভাগের ভর্তি করা হয়৷
গ্রেফতারির পর অবশ্য একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বনমন্ত্রী৷ শুধু তাই নয়, আদালতে শুনানি চলাকালীনও তাঁর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কথা বিচারককে জানিয়ে জামিনের তদ্বির করেছেন ধৃত মন্ত্রী৷ ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই বেশ কয়েকদিন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ ইডি অবশ্য বার বারই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রাখার বিরোধিতা করেছে আদালতে৷