প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি বিভিন্ন অভিযোগে ধৃত প্রভাবশালীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্টও৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিল আদালত৷ তার কিছু দিনের মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এসএসকএম হাসপাতাল থেকে ছেডে় দেওয়া যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ১৯ বছরের চাকরি, হঠাৎ ছাঁটাই! গুগলের কর্মী যা লিখলেন, অবাক না হয়ে উপায় নেই
ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কিডনি, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা আদালতে জানিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ প্রথমে ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয় তাঁকে৷ সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রথমে ইডি হেফাজত এবং তার পরে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয় বনমন্ত্রীকে৷ জেলে থাকাকালীনই ফের বুকে ব্যথার অভিযোগ করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়৷ তার পরেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায় জেল কর্তৃপক্ষ৷ এতদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি৷
যদিও এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছিল ইডি৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাসপাতালে থেকেই তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ আদালতের নির্দেশেই এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও মোতায়েন করা হয়৷
সূত্রের খবর, এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, বনমন্ত্রীকে আর হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই৷ তার পরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেলে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়৷